ঢাকাফেরত অভিযোগে দুই দফা হামলা, ব্যবস্থা নিতে আসকের চিঠি

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ঢাকাফেরত রয়েছে অভিযোগ তুলে দুটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হলেও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ঢাকাফেরত রয়েছে অভিযোগ তুলে দুটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হলেও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

এ ঘটনায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী গোড়ল ইউনিয়নের চাকলাহাট গ্রামে দুটি বাড়িতে ঢাকাফেরত আছে অভিযোগ তুলে স্থানীয় শাহ আলীর নেতৃত্বে ২০-২২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবারও হামলা চালানো হয়।

পরদিন ১ মে এ ঘটনায় হামলার শিকার সুধাংশ চন্দ্র রায় কালীগঞ্জ থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামি শাহ আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় হামলার শিকার আহতদের আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে তার ছেলেকে আটকিয়ে মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা লুট করে নেয়া হয়েছে।

আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী (অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং) আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, গত ২ মে রাতেই হামলা ভাঙচুরের ঘটনার বিবরণ দিয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থাসহ হামলার শিকার লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, করোনাকে পুঁজি করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা বিস্মিত এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। দুএকদিনের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

আসামি পক্ষের মামলা রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি জানান, কেউ অভিযোগ দিলে তো সেটি গ্রহণ করে মামলা রেকর্ড করতে হবে, তাই করেছি। সত্য-মিথ্যা পরে তদন্তকালে প্রমাণ হবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago