প্রবাসী স্বামীকে হত্যার অভিযোগে মামলা, ৭ দিন পর মরদেহ উত্তোলন
চাঁদপুরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ ওঠার পরে আদালতের আদেশে খলিলুর রহমান মিন্টু মিজি (৩২) নামে এক সৌদি-আরব প্রবাসীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসেন সজিবের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। গত ২৬ এপ্রিল খলিলুর রহমান মিন্টুর মৃত্যু হয়। ১ মে তার বড় বোন শেফালী বেগম বাদী হয়ে লায়লী বেগম ও মিন্টুর শ্যালক সোহাগ জমাদারের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
শেফালী বেগম বলেন, টাকা-পয়সা ও শহরের বাড়ির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে মিন্টুর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তারই জের ধরে লাইলী ও সোহাগ আমার ভাইকে হত্যা করেছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে গুজব ছড়িয়ে কাউকে মরদেহ দেখতে দেয়নি। রাতের আঁধারে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে লায়লী বেগম বলেন, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর তিনি দেশে আসেন। ২৪ এপ্রিল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সালেহ আহমেদের পরামর্শ অনুয়ায়ী ওষুধ খাওনো হয়। তাতে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। ২৬ এপ্রিল আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সে সময় পথেই তিনি মারা যান। রাতেই মরদেহ দাফন করা হয়।
হত্যার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের হয়রানি করতে এই মামলা করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আদালতের আদেশে গতকাল ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর বালিয়া এলাকায় পারিবারিক কবরস্থান থেকে প্রবাসীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
Comments