তামিমকে একাদশে রাখতে নেতৃত্ব ছাড়তেও চেয়েছিলেন মাশরাফি!
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে প্রায় দুই মাস আগে। ওয়ানডে দলের নেতৃত্বের মশাল এখন শোভা পাচ্ছে তামিম ইকবালের হাতে। কয়েক বছর আগে এই বাঁহাতি তারকা ব্যাটসম্যানের জন্যই কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। দলনেতার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার কথা ভেবেছিলেন তিনি!
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি। তার নেতৃত্বগুণ নিয়ে চর্চা কম হয়নি। তিনি যেভাবে সব ধরনের পরিস্থিতিতে সতীর্থদের আগলে রেখেছিলেন, তাদের পাশে থেকেছিলেন, সেসবের তুলনা পাওয়া ভার। নতুন করে আরও একবার তা উপলব্ধি করা গেছে মাশরাফি-তামিমের অনলাইন আড্ডার কল্যাণে।
সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাশরাফির সঙ্গে সরাসরি আলাপের সময় ২০১৫ সালের একটি ঘটনার কথা জানিয়েছেন তামিম। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রান না পাওয়ায় পরের ম্যাচে তাকে বাদ দিতে বলেছিলেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত প্রভাবশালী একজন। অথচ এর আগেই পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন তিনি। তামিমকে না রাখার এই পরিকল্পনা অবশ্য বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ মাশরাফি সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ঢাল হয়ে।
‘আমি আউট হওয়া মাত্রই একজন আপনাকে বলেছিল এটা নিশ্চিত করতে যে, আমি যেন পরের ম্যাচে না খেলি। আপনি তখন বলেছিলেন, এটা হলে আপনি পদত্যাগ করবেন। আমি আশা করি ও প্রার্থনা করি, আমিও যেন ওই অবস্থায় যাই, যেন অন্যদের জন্য এমন কথা বলতে পারি।’
এই কথার সূত্র ধরে এরপর মাশরাফি পরামর্শ দিয়েছেন, তামিমও যেন একইভাবে সমর্থন দিয়ে যান তরুণ সতীর্থদের, যাদের আছে একা হাতে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় বাস্তবতা অনুসারে উত্তরসূরিকে ধৈর্যশীল হতেও বলেছেন তিনি।
‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট সহজ, জয়। তোকে ততটুকু ধৈর্য রাখতে হবে। আমার কথা হচ্ছে, তুই তোর দলকে যদি বোঝাতে পারিস যে, দলের জন্য সম্ভাব্য সব করবি, তাহলে দলের সবাই তোর জন্য হলেও সেরাটা দেবে।’
‘তুই যদি সৌম্য (সরকার), লিটন (দাস), মোস্তাফিজদের (মোস্তাফিজুর রহমান) পাশে থাকতে পারিস, ওদের প্রয়োজনের সময়, ওরা কিন্তু শতভাগ ম্যাচ উইনার, ওরাও তাহলে বিশ্বাস পাবে। আমার মতে, তোরা আছিস, খুব ভালো হাতেই আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। আরও এগিয়ে যাবে দল।’
Comments