নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার কয়েক শতাধিক শ্রমিক। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার কয়েক শতাধিক শ্রমিক। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। 

আজ মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটায় উপজেলার বরপা এলাকায় অন্তিম নিটিং ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড কারখানার সামনে শ্রমিকেরা এই বিক্ষোভ করেন। প্রায় আধাঘণ্টা পর পুলিশের উপস্থিতিতে মালিকপক্ষ আগামী বৃহস্পতিবার বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা। এরপর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শ্রমিকদের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘কারখানাটিতে কয়েক শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তাদের মধ্যে কারো মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের আবার করো এক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আজ ছুটির পরে বেতন পরিশোধের পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ছিল। মালিকপক্ষ বেতন না দেওয়ায় শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। পরে ঘটনাস্থলে মালিকপক্ষের লোকজন উপস্থিত হয়ে আগামী বৃহস্পতিবার বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়। এতে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেন।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমিক অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে অবরোধ তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।’

অন্তিম নিটিং ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেডের মালিক আলী আকবরের বরাত দিয়ে শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (গোয়েন্দা) শেখ বশির আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শ্রমিকদের বেতন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু ত্রুটির কারণে শ্রমিকরা বেতন পাননি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব শ্রমিক বেতন পেয়ে যাবেন, এমন আশ্বাস দিয়েছেন মালিক।’

Comments

The Daily Star  | English

Hats off to grassroots women torchbearers

Five grassroots women were honoured at the seventh edition of the Unsung Women Nation Builders Award-2023 yesterday evening for their resilience and dedication that empowered themselves and brought about meaningful changes in society.

3h ago