অ্যাক্টিভিস্ট দিদারুলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাক্টিভিস্ট দিদারুল ভূঁইয়াকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকার বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমাদের অভিযান এখনো চলছে। অভিযান শেষ হলে বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে আনা হবে।
র্যাব-৩ এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছি, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদের সহযোগী দিদারুল। তবে যতদূর জানি, তাকে এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।’
দিদারের পারিবারিক সূত্র জানায়, ইফতারের আগে দুটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে কিছু মানুষ আসে। তারা সাদা পোশাকে থাকলেও নিজেদের র্যাব-৩ এর সদস্য পরিচয় দেয়। দিদারুলকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নিয়ে গেছে।
অনলাইনে রাষ্ট্রচিন্তার পরিচয় সম্পর্কে বলা আছে, ‘একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও গণক্ষমতাকেন্দ্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থার সংকট চিহ্নিত করা এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাব্য পথ অনুসন্ধান করার একটি উদ্যোগ।’
দিদারুল ভূঁইয়া অনলাইনে ত্রাণ তহবিলের অর্থ বণ্টন, মাস্ক ও করোনা মোকাবিলা প্রসঙ্গে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে লেখালেখি করতেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য হাসনাত কাইয়ুম বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া দিদারুলকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা অনতিবিলম্বে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আমাদের থানা হেফাজতে কিশোর ও মুশতাক আছেন। দিদারুল বা অন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’
Comments