দুই দিনের ব্যবধানে বদলে গেল ইউএনও’র করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট

করোনা সংক্রমণের উপসর্গ না থাকলেও সতর্কতার অংশ হিসেবে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে তিনি আক্রান্ত বলে জানা যায়। তবে সে রিপোর্টের ওপর আস্থা রাখতে পারেননি বৈশাখী বড়ুয়া। তিনি দাবি করেন, তার কোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতা বোধ হচ্ছে না।
UNO_Baishakhi_Barua
ছবি: সংগৃহীত

করোনা সংক্রমণের উপসর্গ না থাকলেও সতর্কতার অংশ হিসেবে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে তিনি আক্রান্ত বলে জানা যায়। তবে সে রিপোর্টের ওপর আস্থা রাখতে পারেননি বৈশাখী বড়ুয়া। তিনি দাবি করেন, তার কোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতা বোধ হচ্ছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ এম শোয়েব আহমেদ চিস্তি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ২৭ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঢাকা শিশু হাসপাতালে পরীক্ষার রিপোর্ট ২৯ এপ্রিল আমাদের হাতে আসে। তাতে দেখা যায় বৈশাখী বড়ুয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ওই দিনই আবার তার নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। আজ সেই রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তিনি করোনায় আক্রান্ত নন।

তিনি আরও বলেন, প্রথম রিপোর্ট আসার পরেই বৈশাখী বড়ুয়াকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় রিপোর্টেও যদি করোনা নেগেটিভ আসে তাহলে তিনি কাজে যোগ দিতে পারবেন।

তার পরিবর্তে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা দায়িত্ব পালন করছেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়ুয়ার বলেন, ‘আমার করোনা সংক্রমণের কোনো উপসর্গ ছিল না। যেহেতু আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে প্রতিনিয়ত লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আমার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। প্রথমবার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় আমি অবাক হয়েছি। তখন আমি সবাইকে বলেছি আমার কোনো সমস্যা নেই। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আরও নিশ্চিত হওয়া জন্য দ্বিতীয়বার নমুনা সংগ্রহ করে। আজ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য গতকাল আবারো নমুনা নিয়েছে তারা।’

চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনালের হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সালেহ আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ না থাকলে দ্রুততম সময়ে সুস্থ হয়ে যাওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক। আবার স্যাম্পল কালেকশনের সময় ত্রুটি থাকলে রিপোর্ট ভুল হতে পারে।’

এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘রেজাল্ট কেন বদলে গেল সেটা যারা রিপোর্ট করেছেন তারাই জানেন।’

আরও পড়ুন:

করোনা রোগীর বাড়ি লকডাউনের সময় ইউএনও জানলেন নিজেই আক্রান্ত

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago