‘কিশোরীকে হত্যার পর অটোরিকশা থেকে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা’
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়ন এলাকা থেকে চম্পা নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গলা কেটে হত্যার পরে দুর্বৃত্তরা তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে ফেলে দিয়ে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোণাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা এলাকা থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। রাত ১২টার দিকে কিশোরীর পরিচয় পাওয়া যায়।
মরংঘোনা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কে বা কারা গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে এক কিশোরীর মরদেহ ফেলে দিয়ে যায়। চলন্ত অটোরিকশা থেকেই ধাক্কা দিয়ে মরদেহটি ফেলে দেওয়া হয়। তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মুখ ওড়না দিয়ে পেঁচানো ছিল।
কোনাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা জানান, মরদেহ ফেলে দিয়ে অটোরিকশাটি দ্রুত পেকুয়ার দিকে চলে যায়।
চম্পা কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে। তার বয়স আনুমানিক ১৬ বছর।
রুহুল আমিন পুলিশকে জানিয়েছেন, তার মেয়ে সকালে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। সন্ধ্যায় সে চকরিয়ার জনতাবাজার (গরু বাজার) এলাকায় পৌঁছে। এরপর কক্সবাজারে আসবে বলে আরেকটি অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিল। সে সময় রুহুল তার সঙ্গে চম্পার মোবাইল ফোনে শেষ বার কথা হয়।
মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মেয়েটির গলায় ধারালো বস্তুর আঘাত রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই তার মা-বাবা ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ অটোরিকশাটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
Comments