করোনা রোগীকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় এক ব্যক্তিকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাড়ির মালিকসহ এলাকার কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার রূপসী বাগবাড়ি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। পরে আজ ভোররাত ১টায় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সেই ব্যক্তিকে আবারও বাসায় তুলে দেওয়া হয়।

আক্রান্ত ব্যক্তির মামা জানান, তার ভাগ্নের জ্বর-সর্দি-কাশি দেখা দিলে গত ৩ মে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নমুনা দিয়ে আসে। পরে ৬ মে আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে তার কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়।

চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন। কিন্তু, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বাড়ির মালিকসহ এলাকার কয়েকজন এসে তাকে জোর করে রাতের বেলায় ঘর থেকে বের করে দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাগ্নেকে রূপগঞ্জ পলিটেকনিকে ভর্তি করানোর জন্য ময়মনসিংহ থেকে রূপগঞ্জে এনেছিলাম। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির কারণে সে ভর্তি হতে পারেনি। এর পর থেকে সে এখানেই থাকছে।’

রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাতে সংবাদ পেয়ে ওই আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাসায় তুলে দেওয়া হয়েছে। রাতে বাড়ির মালিককে পাওয়া যায়নি। তার নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাকে সর্তক করা হবে।’

‘এছাড়াও এলাকাবাসীকে রাতেই সর্তক করা হয়েছে। পরবর্তীতে একই কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে,’ উল্লেখ করেন তিনি আরও বলেন, ‘ওই ব্যক্তির কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হলেও তার তেমন কোনো উপসর্গ নেই। ফলে হাসপাতালে না রেখে বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।’

‘তাছাড়া সে সেই বাসায় এক রুমে একা থাকে। তার জন্য আলাদা বাথরুম ও রান্না ঘর আছে। এসব কিছু দেখেই স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন।’

‘আমরা সর্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে যাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago