কক্সবাজারে রোগীদের দুর্ভোগ কমাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দূরবর্তী গ্রামগুলোতে চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করার লক্ষ্য নিয়ে কক্সবাজারে চালু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল।
একটি মিনি ট্রাককে কেবিনে রূপান্তর করে সঙ্গে একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার এ উদ্যোগ নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ২৬ এপ্রিল থেকে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালটি যাত্রা শুরু করেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। দুজন চিকিৎসক স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে নিয়ে একেক দিন একেক এলাকায় সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। প্রাথমিক ওষুধও দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।
‘যাদের করোনার উপসর্গ আছে বলে মনে হচ্ছে তাদেরকে সঙ্গে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতেই আমরা এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি,’ যোগ করেন তিনি।
এ উদ্যোগের সঙ্গে সামিল হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও। চিকিৎসকদের সংগঠনটির কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান জানান, করোনার সময় এ উদ্যোগ মানুষকে স্বস্তি দেবে। নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জায়গা ছিল না। এই উদ্যোগে মানুষ উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, যেকোনো সহযোগিতায় আমরা তৈরি থাকার কথা জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
কক্সবাজারের কলাতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে ফোনে বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকে পেড়ের ব্যথায় ভুগছিলেন। এর মধ্যে কোনো ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়নি।।
‘গত ৫ মে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল আমার এলাকায় আসলে চিকিৎসা নিই। সঙ্গে বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হয়েছে’, জানান আব্দুর রহমান।
Comments