হতদরিদ্র সদস্যদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক

করোনা দুর্যোগকালে লালমনিরহাটে হতদরিদ্র ও একনিষ্ঠ সদস্যদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সুশৃঙ্খলভাবে সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে থাদ্য সহায়তা নিচ্ছেন।

করোনা দুর্যোগকালে যাতে একটি পরিবারকে খাদ্য কষ্টে ভুগতে না হয় সেজন্য সুবিধাভোগী প্রত্যেক সদস্যকে ছয় হাজার টাকার চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, পেঁয়াজ ও সাবান এবং নগদ দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। জেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের সব শাখায় এ কার্যক্রম চালু রয়েছে।

ব্যাংকটির লালমনিরহাটের আদিতমারী আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ১২৩ সদস্যকে এ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের দুড়াকুটি শাখার সুবিধাভোগী সদস্য ননী বালা (৬৫) বলেন, ‘করোনা দুর্যোগকালে গ্রামীণ ব্যাংক খাদ্য সহায়তা না দিলে না খেয়ে থাকতে হতো। সংসারে উপার্জনকারী ছেলে কর্মহীন হওয়ায় নানা সমস্যায় পড়েছি।’

একই শাখার সুবিধবাভোগী জহিরন বেওয়া (৬৪) জানালেন, ব্যাংকের খাদ্য সহায়তা সংসারে অনেক উপকারে এসেছে। করোনার কারণে তার ছেলেও বাড়িতে বেকার বসে আছে। ব্যাংক থেকে পাওয়া খাবারে তাদের সংসার চলছে।

এই শাখার ব্যবস্থাপক দিলরুবা সুলতানা বলেন, ‘ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা অনুযায়ী সদস্যদের মধ্যে যারা হতদরিদ্র ও একনিষ্ঠ তাদের তালিকা করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ খাদ্য সহায়তা তারা খুব খুশি হয়েছেন।’

ব্যাংকটির আদিতমারী এরিয়া ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা দুর্যোগকালে ব্যাংকের অনেক সদস্য কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ জন্য হতদরিদ্র ও নিষ্ঠাবান সদস্যদের তালিকা করে তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’

ব্যাংকের এ খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।