যশোরে প্রথম করোনা জয় করলেন ডা. আসিফ রায়হান

যশোরে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ডা. আসিফ রায়হান। এই জেলার চিকিৎসকদের মধ্যে তিনিই প্রথম আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তিনিই প্রথম সুস্থ হয়েছেন।
ডা. আসিফ রায়হান। ছবি: সংগৃহীত

যশোরে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ডা. আসিফ রায়হান। এই জেলার চিকিৎসকদের মধ্যে তিনিই প্রথম আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তিনিই প্রথম সুস্থ হয়েছেন।

আজ শুক্রবার যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৬ এপ্রিল ডা. আসিফের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর থেকে নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে চিকিৎসা নেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনেই পরপর দুটি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় গতকাল স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বাড়িটিও লকডাউনমুক্ত করা হয়েছে।

ডা. আসিফ চিকিৎসাধীন থাকার নয় দিনের মাথায় গত ৪ মে তার নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। এরপর ৭ মে আবারও তার নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলে নিশ্চিত করা হয় তার শরীরে আর করোনার অস্তিত্ব নেই।

করোনা জয়ী ডা. আসিফ রায়হান বলেন, ‘গত ২১ এপ্রিল চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ১৩ বছরের এক শিশু ও ৩৫ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ও বিভিন্ন উপসর্গ দেখে সন্দেহ হয় তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। তাৎক্ষণিক তাদের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়। ২২ এপ্রিল রিপোর্ট আসে তারা করোনা পজেটিভ। ওই দুই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলাম। এরপর জ্বর, শ্বাস কষ্ট, সর্দিসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেই। ২৫ এপ্রিল নমুনা দিলে ২৬ এপ্রিল রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তবে আমি ভেঙে পড়িনি। আমার পরিবার সবসময় আমাকে সাহস দিয়েছে। অনেক প্রতিবেশীর মনোভাব আক্রমণাত্মক ছিল। কিন্তু, নিয়মিত চিকিৎসা ও নির্দেশনা মেনে চলায় আমি সুস্থ হয়ে উঠেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago