জাদুকরী মুহূর্তগুলো বের হওয়া কঠিন: শূন্য স্টেডিয়ামে খেলা প্রসঙ্গে কোহলি
অধিকাংশ সময়েই হাজারো দর্শকদের সামনে ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা। ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেন ভক্ত-সমর্থকরা। উল্লাস-চিৎকার করে উৎসাহ দেন ক্রিকেটারদের। তাতে চার-ছক্কার ফুলঝুরি যেন আরও বেড়ে যায় তাদের। দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হলে এ বিষয়গুলো মিস করবেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বন্ধ দরজায় জাদুকরী মুহূর্তগুলো নিজের ভেতর থেকে বের হয়ে আসা বেশ কঠিনই মনে করেন তিনি।
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের ক্রিকেটই বন্ধ রয়েছে। তবে অনেকেই দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে ফের খেলা শুরুর পক্ষে মতামত দিয়েছেন। সে পক্ষে আছেন ভারতীয় অধিনায়কও। বন্ধ দরজায় ক্রিকেট খেলা ফের শুরু হতেই পারে বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু সমস্যাও দেখছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান। দর্শক ছাড়া মাঠে নিজের জাদুকরী কারিকুরিগুলো সহজে বের হবে না বলে মনে করছেন তিনি।
চলতি বছরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দর্শক শূন্য মাঠে আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে। মূলত এ কারণেই এ নিয়ে এতো আলোচনা। শেষ পর্যন্ত এটা হয়েও যেতে পারে বলে মনে করেন কোহলি। স্টারস্পোর্টসের ক্রিকেট কানেক্টেড অনুষ্ঠানে বলেছেন, 'এ পরিস্থিতিতে হতে পারে, এমনটা হতেই পারে। সত্যি বলতে কি আমি জানি না, সবাই এটা কীভাবে নিবে কারণ আমরা সবসময় দর্শকদের সামনে খেলে অভ্যস্ত।'
এমন পরিস্থিতি খেলার নেতিবাচক দিকগুলোও তুলে ধরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক, 'আমি জানি খুব ভালো তীব্রতায় মধ্যেই খেলানো হবে। তবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকের মধ্যে যে একটা সংযোগ এবং টেনশন থাকে সে অনুভূতিগুলি এখানে তৈরি করা খুব কঠিন। বিষয়গুলো এখনও হয়তো থাকবে, এ পরিস্থিতি তৈরির কারণে একজনের মধ্যে যে জাদুকরী ব্যাপারটা অনুভব করার কথা, সেটা আসবে কি-না আমার সন্দেহ আছে।'
নিজেদের সেরাটা দিয়েও হয়তো আগের সেই জাদুকরী মুহূর্তগুলো নাও আসতে পারে বলে মনে করেন কোহলি, 'যেভাবে খেলতে হয় আমরা সেভাবেই খেলি কিন্তু ওই সব জাদুকরী মুহূর্তগুলো বের হয়ে আসা কঠিন হবে।'
ইংলিশ ক্রিকেটার বেন স্টোকস, জেসন রয়, জস বাটলার এবং অজি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বন্ধ দরজায় দর্শক শূন্য মাঠে ক্রিকেট আয়োজনের পক্ষে কথা বলেছেন। আবার অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি অ্যালান বোর্ডার দর্শকহীন মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে নন। তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন আরেক অজি তারকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।
Comments