ঈদের আগে খুলছে না চট্টগ্রামের অধিকাংশ শপিংমল
সীমিত আকারে শপিংমল খোলার সুযোগ থাকলেও চট্টগ্রামে ১১ টি বৃহৎ শপিংমল আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ শুক্রবার শপিংমল ও দোকান মালিক সমিতি এবং ব্যবসায়ী সমিতির সম্মিলিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মিমি সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দিন দিন চট্টগ্রামে করোনার আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীর চারটি পৃথক এলাকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলাদা বৈঠক হয়েছে। নগরীতে প্রায় অর্ধ শতাধিক বড় শপিং মল রয়েছে। এরমধ্যে ১১ টি শপিং মল ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি শপিংমল মালিক সমিতির দু-এক দিনের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত আমাদের ফেডারেশন থেকে নেওয়া হয়নি। আমরা আলাদাভাবে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মার্কেট বন্ধ রাখার বিষয়ে সকলে একমত হয়েছেন।’
জানা গেছে, চট্টগ্রামের মিমি সুপার মার্কেট ছাড়াও স্যানমার ওসান সিটি, চিটাগং শপিং কমপ্লেক্স, ফিনলে স্কয়ার, সেন্টাল প্লাজা, আমিন সেন্টার, আফমী প্লাজা, লাকী প্লাজা, কল্লোল সুপার মার্কেট, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট ও কনকর্ড মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট, আন্দরকিল্লাহ, আগ্রাবাদ, ইপিজেড এলাকায় সেসকল শপিংমল আছে তারাও ঈদের আগে মার্কেট না খোলার বিষয়ে সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলে জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
জিইসির সানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার বলেন, ‘প্রথমত করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি নেই। দ্বিতীয়ত করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্রেতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। নিজেদের ও কর্মীদের জীবনের পাশাপাশি ক্রেতার সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতেই আমরা শপিং মল না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে শুক্রবার একদিনে সর্বোচ্চ ৩৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা ১৯৭ জন।
Comments