কুড়িগ্রামে ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ, ইউএনওর গাড়িতে হামলা

ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

ত্রাণের দাবিতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে রংপুর-কুড়িগ্রাম (আরকে রোড) সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় কর্মহীন মানুষ। বিক্ষুব্ধ লকজন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।

আজ সকালে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম, নেপারদরগা, খোলারপাঠ ও মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের কয়েক শ নারী-পুরুষ সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা অবরোধে রাস্তার উভয় পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।

উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ময়নুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন তার গাড়ি ভাঙচুর করে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দেলোয়ার হোসেন জানান, কর্মহীন লোকজন আজ পর্যন্ত কোনো সরকারি ত্রাণ সহায়তা পাননি। তাদের কাছ থেকে কয়েক দফায় এনআইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। এর পরও ত্রাণ না পাওয়ায় রাস্তায় নেমেছেন। ত্রাণের আশ্বাসে আজকের মতো তারা বাড়িতে ফিরেছেন।

কাঠালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য মর্জিনা বেগম জানান, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে তিনি চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি মুখ চিনে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এ কারণে প্রকৃত কর্মহীন দিনমজুররা সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

এ ব্যাপারে কাঁঠালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেদোয়ানুল হক দুলাল বলেন, স্থানীয় রাজনীতির রেষারেষি থেকে গ্রামের মানুষকে সংগঠিত করে রাস্তায় নামিয়ে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ করে ইউএনওর গাড়িতে হামলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মর্জিনা বেগম এ আন্দোলনে গ্রামবাসীর পক্ষে ভূমিকা রাখছেন।

চেয়ারম্যান বলেন, তার ইউনিয়নে সাড়ে সাত হাজার পরিবারের ত্রাণের চাহিদার বিপরীতে তিনি ১৩৬১টি পরিবারের জন্য বরাদ্দ পেয়েছেন এবং তা বিতরণও করেছেন। পরিষদের সবাইকে সাথে নিয়ে নিরপেক্ষভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।

ইউএনও বলেন, গাড়িতে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয় তবে বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিক্ষোভকারীদের তালিকা তৈরি করে শিগগির ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

3h ago