স্মিথ-কোহলির সাফল্যের নেপথ্যে ওপেনারদের অবদান দেখেন ওয়ার্নার

ওয়ার্নার মনে করেন, স্মিথ-কোহলির সাফল্যের কৃতিত্ব কেবল তাদের একার নয়। তাদের সেরা হয়ে ওঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে দুদলের ওপেনারদের।
david warner
ছবি: এএফপি

সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানের প্রসঙ্গ উঠলেই উচ্চারিত হয় অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ ও ভারতের বিরাট কোহলির নাম। ব্যাট হাতে দুজনের রয়েছে নানা অর্জন, বহু অনন্য কীর্তি। তবে আরেক অজি ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার মনে করেন, স্মিথ-কোহলির সাফল্যের কৃতিত্ব কেবল তাদের একার নয়। তাদের সেরা হয়ে ওঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে দুদলের ওপেনারদের।

শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে আড্ডা জমান ওয়ার্নার। সেখানে বিধ্বংসী ওই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার জানান, নতুন বলের পালিশটা (চকচকে ভাব) তুলে দেন তারা। এরপর প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরান স্মিথ-কোহলি। কারণ, আরও অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের মতো ওয়ার্নারও বিশ্বাস করেন, পুরনো বলে ব্যাট করা তুলনামূলক সহজ।

এই বাঁহাতি বলেন, ‘লোকে বলে কোহলি ও স্মিথ বিশ্বের সেরা। কিন্তু আমরাই ওদের সেরা বানিয়েছি। কারণ, আমরাই নতুন বলের পালিশটা তুলে দিই। ওপেনার হিসেবে আমাদের কাজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

বর্তমান সময়ের ওপেনারদের মধ্যে ওয়ার্নার ও রোহিত শীর্ষস্থানীয়। তবে মজার ব্যাপার হলো, ক্যারিয়ারের শুরুতে তারা কেউই ইনিংসের উদ্বোধন করতে নামতেন না। ওয়ার্নার খেলতেন লোয়ার মিডল অর্ডারে, করতেন লেগ স্পিন। রোহিত মিডল অর্ডারে ব্যাট করার পাশাপাশি অফ স্পিনেও ছিলেন বেশ পটু।

কীভাবে প্রথমবার ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন সে গল্পটা রোহিতকে শোনান ওয়ার্নার, ‘অদ্ভুতুড়ে মনে হতে পারে। আমি মিডল অর্ডারে খেলতাম। ইনিংসের শেষদিকে মাঠে নামতাম আর কী। ২০০৯ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে খেলার সময় আমাদের অধিনায়ক ছিলেন ডমিনিক থর্নলি। ফিল হিউজ তখন ওপেন করতেন। আর হঠাৎ একদিন আমাকে তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামতে বলা হয়।’

‘এরপর আমি বোলিং বলতে গেলে ছেড়েই দিই। আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮০ হাজার মানুষের সামনে খেলতে নেমেছিলাম,’ আন্তর্জাতিক অভিষেকের কথা জানাতে গিয়ে বলেন এই ৩৩ বছর বয়সী তারকা।

প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ওয়ার্নার কালেভদ্রে বল হাতে তুলে নিলেও ৩২ বছর বয়সী রোহিত স্পিন বোলিংটা চালিয়ে গিয়েছিলেন অনেকদিন। আঙুলে চোট পাওয়ার আগে পার্টটাইম বোলার হিসেবে কার্যকরও ছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) হ্যাটট্রিক করার নজির আছে তার। ওয়ার্নারের সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতাও ভাগাভাগি করেন রোহিত, ‘আমি মনে করতে পারি যে, তারা সবাই বেশ ভালো ব্যাটসম্যান ছিলেন।’

২০০৯ সালে আইপিএলের সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজি ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলার সময় হ্যাটট্রিক করেছিলেন রোহিত। প্রতিপক্ষ ছিল তার বর্তমান দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। পরপর তিন বলে তিনি সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন অভিষেক নায়ার, হরভজন সিং ও জেপি ডুমিনিকে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago