শতভাগ বেতনের দাবিতে আশুলিয়া ও গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ

শতভাগ বেতনের দাবিতে সাভারের আশুলিয়া ও গাজীপুরের কাশিমপুর জিরানী এলাকায় বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানান, কাশিমপুরের জিরানী এলাকার অন্তত পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা শতভাগ বেতনের দাবিতে কারখানা থেকে বের হয়ে নবীনগর-চন্দ্রা মহসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরাতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে।

অপরদিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা একই দাবিতে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে বলে জানান শ্রমিক নেতারা।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, শ্রমিকেরা ঝুঁকি নিয়ে গ্রাম থেকে দুই-তিন হাজার টাকা খরচ করে এসে কাজে যোগ দিয়েছে। কেন তারা ১০০ শতাংশ বেতন পাবে না, এটাই প্রশ্ন শ্রমিকদের।

যোগাযোগ করা হলে গাজীপুরের কাশিমপুর জিরানী এলাকার একটি পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা শ্রমিকদের সরকার নির্ধারিত মে মাসের বেতন ৬০ শতাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে শ্রমিকেরা গতকাল কারখানায় কাজ করেনি। আজ কারখানায় এসে আমাদের কয়েকজন স্টাফকে মারধর করেছে। আমরা বাধ্য হয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছি। এখন পুলিশ ও আমরা শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার জানে আলম খান মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বের হয়ে এসেছে। আমরা শ্রমিকদের বোঝানোর পাশাপাশি মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।

জিরানী এলাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওখানকার কারখানাগুলো গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের আওতায়।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত কুমার বলেন, জিরানীতে প্রথমে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হয়। শ্রমিকেরা তা না শুনে বরং পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এতে অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ২০ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে। দুপুর ২টার দিকে শ্রমিকেরা রাস্তা থেকে সরে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Türk concerned over changes in Bangladesh's legislation banning activities of parties

"This [the changes in legislation] unduly restricts the freedoms of association, expression, and assembly," says the UN high commissioner for human rights

56m ago