খোলা ময়দানে চলছে তামাক কেনা-বেচা, কোনো নীতি মানা হচ্ছে না
স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা সামাজিক দূরত্ব কোনোটাই নিশ্চিত না করে মানিকগঞ্জে খোলা ময়দানে চলছে তামাকের কেনা-বেচা। তামাক কেনার জন্য অঙ্গীকারপত্রে যেসব নীতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার কিছুই মানা হচ্ছে না। যা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
আজ শনিবার মানিকগঞ্জ সদরের গড়পাড়া উত্তর ডাউলী এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় একটি মসজিদের সামনে খোলা ময়দানে তামাকে কেনা-বেচার পসরা বসিয়েছেন একটি তামাক ক্রয়কারী কোম্পানি। অথচ তামাক কেনার আগে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে তামাক ক্রয়ের অঙ্গীকার পত্র দাখিল করেছিল ওই কোম্পানি।
শর্ত অনুযায়ী, তামাক ক্রয় করার সময় আগত চাষীদের শরীরের তামমাত্রা থার্মাল মেশিনে পরিমাপ করতে হবে। তারপর তিনি তামাক ক্রয় কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। যাদের মাস্ক নেই তাদের মাস্ক সরবরাহ করা, তামাক ক্রয় কেন্দ্রে সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ জীবাণুমুক্তকরণের ব্যবস্থা করা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ক্রয় কেন্দ্রের নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে ৩ ফুট দূরত্বে দাড়াঁনোর জায়গা চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু, এর কোনোটিই না মেনে খোলা আকাশের নীচে তামাক কিনছে ওই কোম্পানি।
এ সময় সামাজিক তামাক বিক্রেতাদের (কৃষকের) মুখে মাস্কও ছিল না। এমনকি কোম্পানির প্রতিনিধি ব্যবস্থাপক নিজেও মাস্ক পরেননি।
এ প্রসঙ্গে ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আগামীতে তামাক ক্রয়ের সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কোম্পানির কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।’
এ ছাড়াও, তিল্লী এলাকার আরেক বিড়ি ফ্যাক্টরিতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা না হলেও হাত ধোয়া ও তামমাত্রা মাপার ব্যবস্থা ছিল।
এসব অনিয়ম প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে তামাক কেনা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comments