নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ
বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কে বিক্ষোভ করেছেন ‘ফাহিম অ্যাপারেলস’ নামে তৈরি পোশাক কারখানার অর্ধশতাধিক শ্রমিক। এসময় তারা অবিলম্বে বেতন পরিশোধ না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন।
আজ রবিবার সকাল ১১টায় শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পুনরায় শহীদ মিনারের সামনে এসে মিছিল শেষ হয়।
শ্রমিকেরা জানান, সদর উপজেলার বিসিক শিল্প এলাকার ফাহিম অ্যাপারেলস পোশাক কারখানায় ১০০ থেকে ১২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। গত ২৫ মার্চ কারখানা বন্ধ ঘোষণার পর আর খুলেনি। এর মধ্যে উৎপাদনভিত্তিক কিছু শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করলেও এখনও অর্ধেকের বেশি শ্রমিকের দুই মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। কবে বেতন পরিশোধ করা হবে সেটাও জানানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে।
কারখানার শ্রমিক শাকিল বলেন, ‘দুই মাস ধরে বেতন পাই না। ঘর ভাড়া, দোকান বাকি কোনো কিছুই দিতে পারছি না। উল্টো ঋণ করে সংসার চলাতে হচ্ছে। তাছাড়া এখন নতুন করে কোনো কারখানায় কাজও পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে চলব। তাই অবিলম্বে আমাদের বেতন পরিশোধ করার দাবি জানাচ্ছি।’
শ্রমিকদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শ্রমিকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অবিলম্বে তাদের বেতন পরিশোধ করা হোক। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন ছাড়া তাদের অন্য কোনো পথ থাকবে না।’
নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দুই মাসের নয়, এক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দ্রুত বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করছেন। এ আশ্বাসে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে গেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে ফাহিম অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান মো. শাহিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা বশির আহমেদ জানান, আজ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ২৭৫টি পোশাক কারখানা চালু রয়েছে। যার মধ্যে বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ২৩৫টি কারখানার মধ্যে চালু হয়েছে ৩২টি, বিকেএমইএ’র ৭৯২ কারখানার মধ্যে ১৯৮টি, বিটিএমএ’র ১৭২টির মধ্যে ১৮টি ও বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডে ৪৮টি কারখানার মধ্যে ২৭টি চালু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এসব কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনো শ্রমিকের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।’
Comments