ডেইলি স্টারে প্রতিবেদনের পর ১৩ সপ্তাহের মজুরি পেলেন চা-শ্রমিকরা
অবশেষে আজ রবিবার দুপুর থেকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কালিটি চা বাগানের ৫৩৭ চা-শ্রমিকের নগদ মজুরি, বকেয়া বোনাস দেওয়া শুরু হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী ১৩ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পাচ্ছেন তারা।
এ জন্য খুশি শ্রমিকরা। একে তারা তাদের আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় হিসেবে দেখছেন।
এজন্য চা-শ্রমিকরা দ্য ডেইলি স্টারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। কারণ, শেষ পর্যন্ত ডেইলি স্টারই তাদের পাশে ছিল। চা-বাগান সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন ইংরেজি ও বাংলা অনলাইন, প্রিন্ট ও মাল্টিমিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
চা -শ্রমিক অনিমা অলমিক বলেন, ‘বকেয়া মজুরি আমাদের আন্দোলনের ফসল। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিন কেটেছে। তাদের লেখাপড়ার খরচসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে হিমশিম খেয়েছি। এখন নগদ মজুরি পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।’
‘বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা বারবার প্রশাসনের সঙ্গে বসেছি। অবশেষে এর সমাধান হলো,' যোগ করেন তিনি।
চা-শ্রমিক নেতা বিশ্বজিত রবিদাশ বলেন, ‘অনেক কষ্টে দিন কেটেছে। ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন করেছি। আমাদের প্রাপ্য টাকা এতদিন আটকে রাখা হয়েছিল। অবশেষে মজুরি পেয়েছি। ডেইলি স্টার পত্রিকা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ছিল। এজন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।’
একই বাগানের শ্রমিক নেতা দয়াল অলমিক বলেন, ‘স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে মজুরি পেয়েছি। আমরা খুশি।’
চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কালোয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলনের পর মজুরি দেওয়া হয়েছে। সব দাবি বাস্তবায়নের সম্মতি পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ১৩ দফা দাবির ছয়টির বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি সাত দফা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
চা-বাগানের ব্যবস্থাপক প্রণব কান্তি দাশ বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া শুরু হয়েছে। কালিটি চা বাগানের ৫৩৭ চা-শ্রমিকের নগদ মজুরি ও বকেয়া বোনাস দেওয়া শুরু হয়েছে। তারা ১৩ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পাবেন।’
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘সবার ঐকান্তিক চেষ্টায় বিশেষ করে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন স্যারের বিশেষ সহযোগিতায় বারবার মিটিং করে সমাধানের পথ খোঁজা হয়েছে। অবশেষে চা-বাগানের এই সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। সবার সহযোগিতায় চা-শিল্প টিকিয়ে রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নগদ প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৮৯৭ টাকা চা-শ্রমিকদের দেওয়া হবে।’
Comments