৬ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে কৌতিনহো!

ছবি: এএফপি

সময়টা ভালো যাচ্ছে না ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপ কৌতিনহোর। বার্সেলোনায় সংগ্রাম করতে থাকা এ খেলোয়াড় বায়ার্ন মিউনিখে গিয়ে কিছুটা জ্বলে উঠেছিলেন। সে ছন্দ খুব বেশি দিন ধরে রাখতে পারেননি। পরে জায়গা হারান প্রথম একাদশ থেকে। এবার তো অনাকাঙ্ক্ষিত ইনজুরি তাকে ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে দিয়েছে। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্পেনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম মুন্দো দিপার্তিভো।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই বন্ধ হয়ে আছে বুন্ডেসলিগা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আগামী ১৬ মে থেকে ফের মাঠে গড়াচ্ছে এ লিগ। নতুন সূচিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষে খেলবে বায়ার্ন। কিন্তু তাদের বিপক্ষে বায়ার্নের ঘোষিত স্কোয়াডে নেই কৌতিনহো।

গত রোববার গোড়ালির অস্ত্রোপচার করিয়েছেন কৌতিনহো। ধারণা করা হয়েছিল দুই সপ্তাহের মধ্যেই ফিরবেন তিনি। কিন্তু এখনও গোড়ালিতে অস্বস্তি বোধ করছেন এ ব্রাজিলিয়ান। তাই ১৪ দিন তার মাঠের ফেরার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানা গেছে। এমনকি সম্পূর্ণ ফিট হতে ছয় সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।

আর এ কারণে মুন্দো দিপার্তিভোর সংবাদ, চলতি মৌসুমের পুরো সময়ই মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে কৌতিনহোকে। এদিকে অফিশিয়াল ঘোষণা না আসলেও ধারণা করা হচ্ছে আগামী আগস্ট থেকে ফের মাঠে ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সে সময়ের আগে মাঠে ফিরতে পারেন বলেও সংবাদে বলেছে তারা।

আর এটা নিঃসন্দেহে বাজে সংবাদ কৌতিনহোর জন্য। এবং বার্সেলোনার জন্যও। কারণ কিনে রাখার সুযোগ থাকলেও তাকে রাখবে না বলেই জানিয়েছে বায়ার্ন। আর নেইমার ও লাউতারো মার্তিনেজকে কিনতে আগামী মৌসুমে তাকে বিক্রি করে তহবিল বাড়াতে চায় বার্সা। এ সময়ে তার ইনজুরি কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে তার ট্রান্সফারে।

বায়ার্নে কৌতিনহোর দুর্ভাগ্য শুরু হয় সাবেক কোচ নিকো কোভাচের ছাঁটাইয়ের পর থেকেই। বার্সা থেকে ধারে তাকে নিয়েছিলেন কোভাচই। ছন্দ ফিরে পেতে তাকে পর্যাপ্ত সহায়তাও করছিলেন। কিন্তু তার বিদায়ের পর বদলে যায় সব। নতুন কোচ হেন্সি ফ্লিকের অধীনে প্রথম ম্যাচ থেকে প্রথম একাদশের বাইরে এ ব্রাজিলিয়ান। মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলেও সে অর্থে সময় পাচ্ছেন না।

Comments

The Daily Star  | English

More than 290 killed in Air India plane crash: police

It’s the first Dreamliner crash since its 2011 commercial debut, says Aviation Safety Network

7h ago