চকরিয়ায় পেনশনের টাকা তুলতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসে পেনশনের টাকা তুলতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলা চত্বরে অবস্থিত হিসাবরক্ষণ অফিসের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করেও দিনশেষে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে করোনা-ঝুঁকি নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত ৯ মে হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে, পেনশন বই নিয়ে রবিবার চকরিয়া সদরের উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে আসার জন্য।’
‘ওই বার্তা পেয়ে রবিবার সকালে শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী যথারীতি উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে আসেন। সেখানে তারা পেনশন বই জমা দিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অফিসের বারান্দায় অপেক্ষা করেন। কিন্তু, দিনশেষে আবার আগামী ১২ মে আসতে বলে দেওয়া হয়।’
অবসরপ্রাপ্ত অপর এক কর্মচারী বলেন, ‘আমি ২০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছি। এই পথ অতিক্রম করে আসতে অন্তত চার বার আমাকে গাড়ি বদল করতে হয়েছে। কয়েক কিলোমিটার হাঁটতেও হয়েছে। অথচ ফেরত যেতে হয়েছে খালি হাতে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী— আমরা দুজনই অসুস্থ। পেনশনের টাকা তুলতে না পারায় ওষুধের দোকান থেকে বাকিতে ওষুধ নিতে হবে। আমাদের সামনেই ঠিকাদার ও জনপ্রতিনিধিদের বিল পাস করে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা পেলাম না।’
অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক বলেন, ‘হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা চাইলে গতকালকেই আমাদের বিল পাস করে দিতে পারতেন। শুধু হয়রানি করার জন্য বিল পাস করেননি। এই করোনা-দুর্যোগের সময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে।’
‘যানবাহন না থাকায় যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর,’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় ডেকে এনে আমাদেরকে এভাবে ফেরত দেওয়াটা উচিত হয়নি। আমরা এই রকম হয়রানির বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নন্দন পাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অফিসের নিজস্ব সার্ভারে সমস্যা থাকায় তাদেরকে আবার ১২ মে আসতে বলা হয়েছে।’
‘কারো কারো বিল কীভাবে পাস করা হয়েছে’— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সার্ভার যখন কাজ করেছে, তখন চেষ্টা করে দেখেছি।’
Comments