নিরাপত্তা এখন ‘গলার কাঁটা’

এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাটডাউনের প্রথম একমাসে একবার ব্যবহার্য সার্জিকাল ফেস মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড সানিটাইজারের বোতল ও পলিথিন ব্যাগ থেকে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ টন বিপজ্জনক প্লাস্টিক বর্জ্য উত্পাদিত হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে মাস্ক এবং গ্লাভস অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। কিন্তু, ব্যবহারের পরে এগুলো রাস্তায় ফেলে দেওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে। ছবিটি সম্প্রতি সিলেটের চৌহট্টা এলাকা থেকে তোলা। ছবি: শেখ নাসির

এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাটডাউনের প্রথম একমাসে একবার ব্যবহার্য সার্জিক্যাল ফেস মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল ও পলিথিন ব্যাগ থেকে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ টন বিপজ্জনক প্লাস্টিক বর্জ্য উত্পাদিত হয়েছে।

এই বর্জ্যের প্রায় ১১ দশমিক দুই শতাংশ সার্জিক্যাল মাস্ক, ২১ শতাংশ পলিথিনের তৈরি সাধারণ গ্লাভস, ২০ শতাংশ সার্জিক্যাল গ্লাভস, ৪০ দশমিক নয় শতাংশ একবার ব্যবহার্য পলিথিনের ব্যাগ এবং ছয় দশমিক চার শতাংশ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল।

গতকাল এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (ইএসডিও) ‘কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বর্জ্যে পরিমাণ বাড়াচ্ছে: কোনো ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষা নেই: স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য তৈরি করছে উচ্চ ঝুঁকি’ শীর্ষক এই গবেষণাটি পরিচালনা করে।

এই গবেষণায় একচেটিয়াভাবে জনগণ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্লাস্টিকের নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন বিপজ্জনক প্লাস্টিকের বর্জ্যের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইন এবং টেলিফোনে এই সমীক্ষা বিভিন্ন গ্রুপের অংশগ্রহণকারী ৫৭০ জনেরও বেশি মানুষের ওপর পরিচালত হয়।

ইএসডিওর মহাসচিব শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহণ, শোধন ও ধ্বংস করতে হবে যাতে এগুলো সংক্রমণ বা দূষণের আরও ঝুঁকি না বাড়ায়।’

তিনি জানান, এই বিপজ্জনক প্লাস্টিক বর্জ্য নির্বিচারে যেখানে সেখানে ফেলা হলে ব্যাপক পরিবেশ দূষণ হতে পারে।

বিশিষ্ট এই পরিবেশবিদ আরও জানান, এটি অন্যান্য সংক্রামক রোগ ছড়াতে সহায়ক হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যারা কাজ করছেন তারা সংক্রমিত হওয়ার সরাসরি ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং সঠিক সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা না থাকার কারণে এটি আরও ছড়িয়ে পরতে পারে।’

করোনার কারণে, বর্তমানে দেশের শহুরে এবং গ্রামীণ অঞ্চলে গ্লাভস ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে দেখা গেছে সমীক্ষায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত একমাসে হাসপাতালগুলো থেকে আনুমানিক আড়াইশ টন একবার ব্যবহার করা প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago