জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্টে ছেলের মৃত্যুর খবরে বাবার মৃত্যু

জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের এক তরুণ মারা গেছে। পরিবারের অভিযোগ, করোনার উপসর্গ থাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও তাকে ভর্তি করানো যায়নি। আর সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে শোকে-তাপে তার বাবাও গেছেন।
Deadbody_Corona
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের এক তরুণ মারা গেছে। পরিবারের অভিযোগ, করোনার উপসর্গ থাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও তাকে ভর্তি করানো যায়নি। আর সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে শোকে-তাপে তার বাবাও গেছেন।

সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রথমে ছেলে রিমন সাউদ (২৪) ও পরে বাবা ইয়ার হোসেন (৬০) এর মৃত্যুর হয়। সিদ্ধিরগঞ্জের সরদারপাড়া এলাকায় তাদের বাড়ি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা আলী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ‘গত কয়েকদিন ধরে রিমনের জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। এ জন্য তিনি ঢাকায় গিয়ে করোনা পরীক্ষা করান। রিপোর্টের অপেক্ষায় তিনি বাসাতেই ছিলেন। রোববার ভোরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে ইয়ার হোসেন ছেলেকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে সেখানে তিনিও আকস্মিকভাবে মারা যান।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় তার আর কী রোগ ছিল জানা সম্ভব হয়নি। ওই তরুণকে নারায়ণগঞ্জের করোনা হাসপাতালেও আনা হয়নি। এখন সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে।

রিমনের চাচাতো ভাই মাসুম সাউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোর রাত ৩টায় দিকে রিমন নিজেই পায়ে হেঁটে গাড়িতে উঠেছিল। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকায় ঢাকার কোনো হাসপাতালে তাকে ভর্তি করাতে পারিনি। পরে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ভোর ৬ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর মারা যান তার বাবা।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now