করোনা থেকে নজর ঘোরাতে ফুটবল প্রয়োজন: রামোস

sergio ramos
ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থগিত হয়ে আছে স্পেনের ফুটবল। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আবারও মাঠে ফেরার কার্যক্রম চলছে। ১২ জুন ফের লিগ শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন লা লিগা সভাপতি হ্যাভিয়ার তেভাজ। কিন্তু জটিলতা এখনও কাটেনি। স্পেনে নতুন করে ৫ জন ফুটবলার আক্রান্ত হয়েছে করোনাভাইরাসে। তবে এ ভাইরাস থেকে নজর ঘোরাতে ও আর্থিক ভারসাম্য রক্ষার্থে ফুটবল আবারও মাঠে চান রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সের্জিও রামোস।

ফুটবলই করোনাভাইরাসের প্রভাব মুক্ত করার অন্যতম উপায় জানিয়ে সম্প্রতি স্প্যানিশ গণমাধ্যমে রামোস বলেছেন, 'সবকিছু ঠিক হতে সময় লাগবে। তবে আর্থিক সমর্থন ও সবার নজর (করোনা থেকে) ঘোরানোর জন্য দেশে ফুটবল প্রয়োজন। আমি আবার প্রতিযোগিতায় নামতে মুখিয়ে আছি। লা লিগা আবার স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় আছি। তবে এই ভাইরাসকে হারাতে হলে আমাদের নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।'

আর এ লক্ষ্যে এর মধ্যে অনুশীলন করেছে রিয়াল। যদিও উন্নয়নের কাজ চলায় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এ মৌসুমে খেলা ও অনুশীলন কিছুই করা সম্ভব হবে না। তবে ভালদেবেবাসেও খেলতে পারবেন জেনে বেশ খুশী রিয়াল অধিনায়ক, 'ভালদেবেবাসে আমাদের নিয়ম অনুযায়ী যেতে হয় এবং আলাদা আলাদাভাবে অনুশীলন করতে হয়। এটা একটু অস্বাভাবিক এবং কঠিন, কিন্তু পরিস্থিতি মানতেই হবে। আমরা বার্নাব্যুতে খেলতে পছন্দ করি কিন্তু সেখানে বিল্ডিং তৈরির কাজ চলছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা খেলতে পারছি।'

১২ জুন লা লিগা শুরু হওয়ার কথা শোনা গেলেও এ নিয়ে ধোঁয়াশাও রয়েছে। রামোসের বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত ঠিকই মাঠে গড়াবে ফুটবল। সেক্ষেত্রে তাদের একমাত্র লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। বর্তমানে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে তাদের দল, 'আমি জানি সূচি সঠিক সময়েই হবে। দর্শকশূন্য মাঠে খেলা হবে। ফলে এখনই অগ্রিম ভেবে নেওয়া ঠিক হবে না। তবে আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া।'

যদিও অনেকেই এতো দ্রুত ফুটবল ফেরানর পক্ষে নন। তবে এ ক্ষেত্রে জার্মানিকে উদাহরণ হিসেবে নিতে চান রামোস, 'এটা লা লিগার সিদ্ধান্ত। জার্মানি একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে যা আমরা অনুসরণ করতে পারি। আমরা নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি তবে আমাদের নমনীয় থাকতে হবে।'

ইতালির পর স্পেনেই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে করোনাভাইরাস। পরে অবশ্য আক্রান্তের দিক দিয়ে ছাড়িয়ে যায় ইতালিকেও। মৃত্যুর হারও অনেক। ফলে দেশটির অনেকেই স্বজন হারিয়েছেন। তাদের সমবেদনা জানাতে ভোলেননি রামোস, 'এই বিপদে যারা আপনজনকে হারিয়েছেন তাদের একটা বার্তা দিয়ে জানাতে চাই, আমরা এই কঠিন সময় পাড়ি দেবো এবং আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে আছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Public servants won’t be forced to retire

The Advisory Council has decided to abolish a provision of the Public Service Act, 2018, which allows the government to send public servants into forced retirement after 25 years of service.

8h ago