কক্সবাজারে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রাম থেকে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শাহাজাহান কবির।
ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ কায়সার উদ্দীন (২৫)। তিনি একই উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের কাউয়ারপাড়া গ্রামের আবু তৈয়বের ছেলে।
ওসি সৈয়দ শাহাজাহান কবির বলেন, ‘স্থানীয় গ্রামবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় নিশ্চিত করেন মরদেহটি কায়সার উদ্দীনের। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
‘এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়াজ উদ্দীন নামে এক যুবককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে’, বলেন তিনি।
নিহত কায়সারের চাচা আবুল কালাম জানান, গতকাল রাতে কায়সার ছনখোলা গ্রামে তার নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতে নানার বাড়ি থেকে ফেরার পথে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায় এবং গলা কেটে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, কায়সারের চাচার বক্তব্যের সঙ্গে আটক রিয়াজ উদ্দীনের বক্তব্যেরও মিল পাওয়া যাচ্ছে। রিয়াজ উদ্দীন ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনের নামও বলেছে।
কায়সারের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বছরখানেক আগে ছনখোলা গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে কায়সারের দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় কায়সারকে। কায়সারের পরিবার ওই টাকা পরিশোধও করে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পুরনো দ্বন্দ্বের জের ধরেই কায়সারকে হত্যা করা হয়েছে।
খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দীন এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
Comments