ইংল্যান্ড সফর নিয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়: পিসিবি

pakistan and england
ছবি: এএফপি (ফাইল)

আগামী জুলাই মাসের শেষদিকে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যথা সময়ে দুদল মাঠে নামতে পারবে কি-না তা নিয়ে অবশ্য যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে রাজি নয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

করোনাভাইরাসের প্রকোপে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে ইংল্যান্ডে। দেশটিতে অন্যান্য অনেক কার্যক্রমের মতো খেলাধুলাও বন্ধ হয়ে আছে লম্বা সময় ধরে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী জুলাইয়ের আগে খেলা মাঠে ফিরছে না।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচি অনুসারে, জুলাইয়ের ৩০ তারিখ থেকে ইংল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। এরপর সমানসংখ্যক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পরস্পরকে মোকাবিলা করবে তারা। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গোটা সিরিজ নিয়ে দেখা দিয়েছে জোরালো শঙ্কা।

চলমান অচলাবস্থায় আইসিসির বেশকিছু ইভেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। পিছিয়ে গেছে অনেকগুলো দ্বিপাক্ষিক সিরিজও। পাকিস্তানও কি তবে ইংল্যান্ড সফর বাতিলের পথে হাঁটবে? উত্তরে পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেছেন, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে চায় তারা।

সোমবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দলের খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ ব্যাপারে  কোনো আপস করব না।’

‘বর্তমানে ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমরা তাদেরকে গোটা পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব। আমরা এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। তবে পরবর্তী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে আমরা সবকিছু মূল্যায়ন করব এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’

‘এটি কোনো সহজ পরিস্থিতি নয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও সহজ নয়। কারণ, ইংল্যান্ডে প্রতিদিন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হকসহ পিসিবি কর্মকর্তারা আগামী শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইসিবির সঙ্গে বৈঠক করবে। সেখানে সফরের খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে দুই পক্ষ।

Comments

The Daily Star  | English

CAAB, Biman propose fee cuts to boost air cargo

The Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB) and Biman have proposed reducing landing, parking, and ground handling charges at the country’s airports to make air cargo services cost-effective and resilient amid global disruptions.

7h ago