খেলা ছাড়ার পর কৃষিখাত নিয়ে বড় স্বপ্ন সাকিবের

ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল সাকিব আল হাসানের। নানা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে মরিচ কুড়ানো, ধান কাটার মতো কাজও উৎসাহ নিয়ে করেছেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর বিবিধ কৃষিক্ষেত্রে অবদান রাখতে বড় স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
Shakib Al Hasan
মাগুরায় ধানক্ষেতে সাকিব, ছবি: সাকিবের ফেসবুক পেজ

ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল সাকিব আল হাসানের। নানা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে মরিচ কুড়ানো, ধান কাটার মতো কাজও উৎসাহ  নিয়ে করেছেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর বিবিধ কৃষিক্ষেত্রে অবদান রাখতে বড় স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

জার্মানির গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের সঙ্গে আলাপে নিজের অবসর পরবর্তী ভাবনার কথা জানান ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।

সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিবের সঙ্গে সরাসরি অনলাইন আলাপচারিতায় দর্শকরাও প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেখানেই এক দর্শকের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার জানান কৃষি নিয়েই বড় স্বপ্ন তার,  ‘খুব ছোটবেলা থেকে কৃষি কাজের প্রতি আমার প্রবল আগ্রহ। নানার বাড়িতে থাকতে সূর্য ওঠার আগে মাঠে যেতাম। মরিচ কুড়ানো দেখতাম, ধান কাটা দেখতাম। আমি নিজেই ধান কাটতে গিয়ে রক্ত ঝরিয়েছি। এছাড়াও ধান মাড়ানো, ঢেঁকি ভাঙা এই বিষয়গুলো কৃষির প্রতি আমার আলাদা টানের সৃষ্টি করেছে। আর তাই আমি ছোট আকারে অনেকগুলো ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি কৃষিকে ঘিরে।’

এরমধ্যে নিজের নামে একটা ফাউন্ডেশন বানিয়েছেন। তা নিয়ে করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে সংকটে থাকা মানুষকে সাহায্য করে চলেছেন। ফাউন্ডেশনটার একটা শক্ত ভিত দিতে চান। তা নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা তার। ক্রিকেট ছাড়াও সাকিব অবদান রাখতে চান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে,  ‘এই মুহূর্তে ভেবে বললে বলতে হয় আমার টার্গেট দুইটা। আমার ফাউন্ডেশন থেকে একটা ক্রিকেট একাডেমি চালু করতে চাই। যেটা করবো বলে ফাউন্ডেশন চালু করেছি। তবে আমার দেশের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা এই দুইটা খাতেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। এই তিনটা জিনিস আমি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করতে চাই।’

সম্প্রতি সাকিবের কাঁকড়া হ্যাচারি একটি নেতিবাচক ঘটনায় আলোচনায় এসেছিল। ৩৩ পেরুনো সাকিব জানান এইগুলো কেবল শুরু করেছেন। উনি খেলা ছাড়ার পর সব দাঁড়িয়ে গেলে পুরোদমে নজর দিবেন এসব ব্যবসাতেই,  ‘আমার কৃষি খাতের প্রতি আলাদা আগ্রহ আছে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমার ছোট ছোট ব্যবসাগুলো কৃষিকেন্দ্রিক। যদিও আমি এগুলোতে তেমন নজর দেইনি। কিন্তু আমি চেয়েছি আমার খেলা শেষ হতে হতে যেন এগুলা দাঁড়িয়ে যায়। যাতে আমি অবসরের শেষে এসবে মনোযোগ দিতে পারি।’

এমনকি ফুল চাষেরও উদ্যোগ নিয়েছেন সাকিব। কৃষিখাতে তার কর্মপরিধির বিস্তৃতি ছড়াতে পারে আরও নানা দিকে,  ‘আমি ভবিষ্যতে গরু, ছাগলের ফার্ম, মাছ বা কাঁকড়ার হ্যাচারি দিয়ে হলেও কৃষিখাতে অবদান রাখতে চাই। আসলে কৃষির যে কোনো শাখা হতে পারে। যেমন ফুলও হতে পারে। আমি এজন্য ৪০-৫০ শতক জায়গা জুড়ে ফুল চাষ শুরুও করেছিলাম। ভালোই চলছিল। যদিও করোনার কারণে তা এখন বন্ধ হয়ে আছে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago