লালমনিরহাটের কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে বোরো ধান

ছবি: এস দিলীপ রায়

লালমনিরহাটের খাল-বিল ও ছোটছোট নদীতে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর বোরো ধানের বাম্পার ফলনে এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। করোনা পরিস্থিতিতে তারা এটাকে প্রকৃতির আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন।

লালমনিরহাট সদরের কোদালখাতা গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘খালের বুকে একখণ্ড জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলাম। কিন্তু, ফলন এতো ভালো হবে ভাবতেও পারিনি। আগে জানলে আরও কিছু জায়গাতে ধান চাষ করতাম। বিগত বছরগুলোতে খালের বুকে বোরো ধানের এতো ভালো ফলন হত না। অনেক বছর তো ধান বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। কিন্তু, এ বছর বন্যার পানিও ছিল না আবার পোকামাকড়ও আক্রমণ করেনি।’

আদিতমারীর সারপুকুর গ্রামের কৃষক শচিন চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘স্বর্ণামতি নদীর বুকে বোরো ধান লাগিয়ে কোনো বছর ভালোভাবে ফলস ঘরে তুলতে পারিনি। কিন্তু, এ বছর কোনো ঝামেলা ছাড়াই ফসল ঘরে তুলেছি। প্রত্যাশার অধিক ফলন পেয়ে ভালো লাগছে অনেক। আমারা মতো অনেক কৃষক স্বর্ণামতির বুক থেকে বোরো ধানের বাম্পার ফলন ঘরে তুলছেন।’

একই গ্রামের কৃষক ধনেশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এবার নদীর বুকে বোরো ধান চাষে খরচ তুলনামূলক কম হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পারিনি। কিন্তু, ফলন অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে।’

কালীগঞ্জের চলবলা গ্রামের কৃষক শেহের আলী জানান, ভ্যাটেশ্বর নদীর বুকে বোরো ধান তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এত ভালো ফলন পেয়েছেন যা অতীতের যে কোনো ফলনকে ছাড়িয়ে গেছে। এ ধান তাদের সারা বছর খাদ্য যোগাবে, এমনকি কিছু পরিমাণ ধান বিক্রি করাও সম্ভব হবে।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামিম আশরাফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জেলার পাঁচ উপজেলায় ৪৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার মেট্রিকটন। এরমধ্যে খাল-বিল ও ছোট ছোট নদীর বুকে চাষ হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে। খাল-বিল, নদীসহ সব জায়গা মিলে এ বছর বোরো ধানের ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা।’

Comments

The Daily Star  | English

Police grapple with surge in crime

Data from the Police Headquarters presents a grim picture of violent crimes, including murder, mugging, robbery, extortion, and mob violence, in the first six months of 2025.

17h ago