করোনা নিয়েই সন্তান জন্ম দিলেন গৃহবধূ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গৃহবধূ কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন রংপুরের এক হাসপাতালে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ২২ বছেরের গৃহবধূ সন্তানের জন্ম দেন।
বুধবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, মা ও সন্তান দুজনেই ভাল আছেন।
নবজাতকটিরও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রসূতির পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে পঞ্চগড়ের ভাউলাগঞ্জ এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এটাই তাদের প্রথম সন্তান। স্বামী কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত।
গর্ভে সন্তান আসার কিছুদিন পর স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি নীলফামারী আসেন ওই গৃহবধূ। এরই মধ্যে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কয়েকদিন আগে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। গত রোববার করোনা শনাক্ত হয় তার।
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ১৭ মে প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হলেও করোনা শনাক্ত হওয়ায় সোমবার বিকেলেই নীলফামারী থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেওয়া হয়। যোগাযোগ করা হয় রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে। এরপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি খরচে ১১ মে বিকেলে ওই গৃহবধূ ও তার মাকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বুধবার দুপুরে মুঠোফোন গৃহবধূ জানান, পেটে সন্তান রেখে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় অন্ধকার দেখছিলাম। কী হবে জানতাম না। এরপর সৃষ্টিকর্তার অশেষ করুণায় চিকিৎসকদের সহায়তায় সন্তান পেলাম।
তিনি নীলফামারী সিভিল সার্জন ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সদের ধন্যবাদ জানান।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. নুরুন্নবী লাইজু জানান, মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন।
Comments