২ সন্তানসহ নারীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার সামনে এক দোকানের সিঁড়িতে দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায় এক নারীকে। অঙ্গীকার সামাজিক ও সাহিত্যিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারোয়ার জাহান জুয়েল সেই ছবি ও ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তুলে ধরেন। পর মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে।
এমন ঘটনার সংবাদ পেয়ে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান সেই নারী ও তার সন্তানদের থানায় নিয়ে রাতের খাবার ও ঘুমানোর জায়গা দেন। পরে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে শ্রীমঙ্গলের কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঐ নারী ও দুই সন্তানকে তাদের ঠিকানায় পৌঁছে দিয়ে আসেন।
সেই নারী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি শাপলাবাগ কলোনিতে ৭০০ টাকা বাসা ভাড়ায় থাকতাম। আড়াই মাসের ভাড়া বকেয়া ছিল। বাসার মালিক ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে কষ্ট করে একমাসের ভাড়া পরিশোধ করে দিই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেড় মাসের ভাড়া বকেয়া আছে। ভাড়ার জন্য বাসার মালিক রুবেল মিয়া নানান ধরনের কথাবার্তা বলেছেন। শেষ পর্যন্ত বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন।’
মালিক রুবেল মিয়া মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই নারী গত কয়েকদিন আগে নতুন করে বিয়ে করেছেন। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়। তা জিআরপি থানা-পুলিশ সমাধান করে দেয়। এর কিছুদিন পর থেকেই তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। ধারণা করছিলাম স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শেষ হওয়ার পর হয়তো বা অন্য কোথাও চলে গিয়েছে।’
তিনি তাকে বাসা থেকে বের দেওয়া অভিযোগ অস্বীকার করেন।
মৌলভীবাজারের সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কেউ এই সংকটের সময় বাসা ভাড়ার জন্য বের করে দিতে পারেন না। বাড়িওয়ালার সমস্যা থাকলে তাকে প্রয়োজনে আমাদের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হবে। কিন্তু, অমানবিক কাজ হতে দেওয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনে রাতেই তাদের খাবারের ব্যবস্থা করি। পরে শাপলাবাগ রেললাইনের পাশের ওই বাসায় গিয়ে বাসার মালিককে ডেকে তুলে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিই। পুলিশের পক্ষ থেকে চাল, ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী এবং নগদ টাকা তাদেরকে দিয়েছি।’
‘খাবার না পেলে যে কোনো সময় থানায় যোগাযোগ করতেও বলেছি,’ যোগ করেন তিনি।
Comments