চাঁদপুরে জামাতার ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর পর শাশুড়ির মৃত্যু
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে জামাতার উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতু (২০) নিহত হওয়ার দুদিন পর শাশুড়ি পারভীন আক্তারের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আটক জামাতা আল মামুন মোহনকে (৩২) গতকাল বিকালে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য হাজির করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় আল মামুন মোহনকে প্রধান ও তার ভাই এবং বোনকে আসামি করে নিহত তানজিনার চাচা লিয়াকত খান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, গত বুধবার ইফতারির সময় উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী তানজিনা আক্তারকে তার স্বামী ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এ সময় তানজিনাকে বাঁচাতে আসলে তানজিনার মা পরভীন আক্তারও ছুরিকাঘাতে আহত হন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলা হয়। আজ ভোরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রকিব বলেন, ‘আড়াই বছর আগে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মনতাজ মাস্টারের ছেলে আল মামুন মোহনের সঙ্গে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া গ্রামের সেলিম খানের মেয়ে তানজিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সৌদি আরবে গিয়ে দেড় বছর থাকার পর আল মামুন মোহন ফিরে আসেন। এরপর থেকে বেকার সময় কাটান। এরইমধ্যে পরকীয়া ও টাকা-পয়সার হিসাব নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।’
Comments