পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর জেনারেলকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর জেনারেল স্টিভ লিনিককে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, লিনিকের ওপর তার পূর্ণ আস্থা নেই। তাই আগামী ৩০ দিনের মধ্যে লিনিককে পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্তে জড়িত স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের বরখাস্ত করার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া চলছে। এটি তারই অংশ।
গত শুক্রবার, প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে যারা নিযুক্ত আছেন তাদের প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা থাকা দরকার। এই ইন্সপেক্টর জেনারেলের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি।’
জানা গেছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিলেন লিনিক।
স্টিভ লিনিককে বরখাস্তের পরপরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন ট্রাম্প।
অভিযোগের সুরে ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘সংবিধান ও জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় লিনিক সম্মানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ কারণেই বরখাস্ত করে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান এলিয়ট অ্যাঞ্জেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত শুরু করেছিলেন লিনিক। তদন্ত শুরুর পরপরই তাকে বরখাস্ত হওয়ার ঘটনা জোরালোভাবেই বলে দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, এই বরখাস্তের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট একটি ‘জঘন্য’ কাজ করেছেন। মূলত, নিজের সবচেয়ে অনুগত সমর্থক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রক্ষা করতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে, পম্পেওর বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে খুব বেশি তথ্য দেননি এলিওট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কংগ্রেস সদস্য জানান, পম্পেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করাতে চেয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছিলেন লিনিক।
লিনিককে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্পের পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনা তদারকির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
Comments