কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন নেইমার

শারীরিক গড়ন ঠিক রাখতে এবং নিজেকে তৈরি রাখতে কঠোর পরিশ্রম করছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড।
neymar
ছবি: এএফপি

প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হয়ে আবার কবে খেলতে নামবেন তা নিশ্চিতভাবে জানেন না নেইমার। তবে যখনই ফুটবল চালু হোক না কেন, সেরা ফিটনেস নিয়ে ফিরতে চান তিনি। তাই শারীরিক গড়ন ঠিক রাখতে এবং নিজেকে তৈরি রাখতে কঠোর পরিশ্রম করছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড।

করোনাভাইরাসের কারণে ফরাসি লিগ ওয়ান মাঝপথে বন্ধ হয়ে যার। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স সরকারের ঘোষণার পর আসর বাতিলই করে দেয় লিগ কর্তৃপক্ষ। ২০১৯-২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় নেইমার-কিলিয়ান এমবাপেদের পিএসজিকে।

লিগ ওয়ানে পিএসজির এটি সবমিলিয়ে নবম এবং টানা তৃতীয় শিরোপা। অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রায় নিশ্চিতই ছিল দলটির। কারণ পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা অলিম্পিক মার্শেইয়ের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন নেইমাররা। তাই তাদেরকে টপকে অন্য কারও শীর্ষে ওঠা অনেকটা অসম্ভবই ছিল।

লিগ বাতিল হলেও আরও দুটি ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় টিকে আছে প্যারিসিয়ানরা। ইউরোপ জুড়ে ফুটবল স্থগিত হওয়ার আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত করে তারা। তাই ফুটবলারদের ফের মাঠে নামার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি থাকার বিকল্প নেই। আর ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাও জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলমান মৌসুম শেষ করতে মরিয়া তারা।

ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পরপরই নিজ দেশ ব্রাজিলে পাড়ি জমান নেইমার। গেল প্রায় দুই মাস ধরে সেখানেই আছেন তিনি। সংকটজনক পরিস্থিতির মাঝেই নিজেকে ফিট রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সী তারকা।

ব্যক্তিগত ফিটনেস কোচ রিকার্দো রোসার অধীনে আগের চেয়ে আরও বেশি পরিশ্রম করছেন উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে নেইমার বলেছেন, ‘আমার লক্ষ্য হলো, যখনই ক্লাব কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার সংকেত দেবে, তখন জন্য প্রস্তুত থাকি। তাই আমি যেন নিজের সেরা অবস্থায় থাকতে পারি।’

‘ক্লাবের সঙ্গে থাকলে যেভাবে করতাম, এখানেও সেই একই নিয়মে কঠোর অনুশীলন করছি। আসলে আগের চেয়ে আরও কঠোর অনুশীলন করছি। কারণ, খেলা না থাকার অভাব পূরণ করতে আরও অনেক কিছু করতে হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago