লকডাউনে লম্বা হবে ক্যারিয়ার!
করোনাভাইরাসের মহামারির মুষড়ে পড়া সময়ে আশা দেখাতে পারেন কারা? ভীষণ আশাবাদীরাই তো। সেই দলে রাহুল দ্রাবিড়কে বড় একটা জায়গা দেওয়া যায়। ক্রিকেট বিশ্ব আর ক্রিকেটাররা যেখানে ক্ষতির পরিমাণ কষতে হিসাব নিকাশ করছেন, রাহুল জানালেন এমন এক ভাবনা। যা শুনে স্বস্তি পেতে পারেন হালের ক্রিকেটাররা।
করোনায় লকডাউনে গৃহবন্দি সময়ে রাহুলের সময়টা কাটছে অঢেল অবসরে। রোববার তাই ফেসবুক লাইভে তিনি আড্ডা দিতে এসেছিলেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী ভারতীয় শ্যুটার অভিনব বিন্দ্রা এবং ব্যাডমিন্টন কিংবদন্তি প্রকাশ পাড়ুকোনের সঙ্গে।
সেই আলাপে অবধারিতভাবেই এসেছে ক্রিকেটারদের প্রসঙ্গ। করোনা অনেকের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময় কেড়ে নিলেও ‘দ্য ওয়াল’ খ্যাত ভারতের অন্যতম সেরা এই সাবেক মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এই সময়টাকেই বরং দেখছেন একটা সুযোগ হিসেবে। রাহুলের মতে টানা খেলার ধকলের পর এই অপ্রত্যাশিত লম্বা ছুটি ক্রিকেটারদের করবে সতেজ। যাতে করে অনেকের ক্যারিয়ার হতে পারে এমনকি দুই-তিন বছর লম্বা, ‘আমি তো অনেক ক্রিকেটারকেই বলেছি সময়টা ইতিবাচকভাবে দেখতে। টানা খেলার ধকল থেকে শরীর আর মনকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে। কারণ এমন সুযোগ আর কখনই আসবে না। যদি দুইমাস ভালোভাবে কাজে লাগাও তাহলে ক্যারিয়ার আরও দুই তিন বছর অনায়াসে লম্বা হতে পারে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এমন ফুরসত অসম্ভব ছিল।’
তবে লকডাউনের পর খেলা শুরু হলে ক্রিকেটারদের শারীরিক ফিটনেসের চেয়ে ম্যাচ ফিটনেসের সংকটটা বেশি দেখছেন তিনি, ‘শারীরিক ফিটনেস হয়ত অনেকে রাখছে। কিন্তু ম্যাচ ফিটনেস আলাদা ব্যাপার। সেটা পেতে সময় লাগবে। সেই সময়টা তাদের দিতে হবে।’
করোনা পরবর্তী সময়ে জীবন যাপন কেমন হবে তা নিয়েও চলছে বিস্তর আলোচনা। মানুষের অনেক চেনা অভ্যাস বদলে যাওয়ার কথা বলছেন অনেকে। রাহুল মনে করেন শুরুর দিকে তেমনটা থাকলে সময়ের সঙ্গে সব আগের মতই হয়ে যাবে, ‘শুরুতে মানুষের মনে এক ধরণের সংশয় বা ভয় কাজ করব। একটা জড়তা দেখব আমরা তবে সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য।’
Comments