যে ভাবনা থেকে মাশরাফির ‘অমূল্য’ স্মারকের মূল্য দিয়েছে বিএলএফসিএ
নিজের নাম খোদাই করা এক ব্রেসলেট ১৮ বছর ধরে পরছেন। বাংলাদেশের অনেক সাফল্যের নায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার আনন্দ-বেদনার সাক্ষীও হয়ে আছে যা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের কোন সংগ্রহশালা হলে নিশ্চিতভাবেই সেখানে আলাদা কদরে ঠাঁই মেলার কথা এই স্মারকের। করোনাভাইরাসে সংকটে পড়া মানুষের সহায়তায় সেই স্মারক নিলামে তুলে মিলেছে অভাবনীয় সাড়া। যারা সেটি কিনেছেন সেই বিএলএফসিএর চেয়ারম্যান মুমিন উল ইসলাম জানিয়েছেন, নিলামে অংশ নিয়ে এমন মূল্য দেওয়ার পেছনে তাদের ভাবনা।
রোববার রাতে ‘অকশন ফর অ্যাকশন’ প্লাটফর্মে হয়েছে মাশরাফির স্মারক ব্রেসলেটের নিলাম। ৫ লাখ টাকা ভিত্তিমূলের সেই ব্রেসলেটের দাম তরতর করে উঠে ৪২ লাখ টাকা পর্যন্ত। দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিএলএফসি সর্বোচ্চ ৪০ লাখ দর হাঁকিয়ে তা কিনে নেওয়ার পর সেখানে তাদের সঙ্গে আরও ২ লাখ টাকা যোগ করে আইপিডিসি।
আরও পড়ুন- মাশরাফির ব্রেসলেট ৪২ লাখ টাকায় বিক্রি
বিএলএফসিএর চেয়ারম্যান সরাসরি অনলাইন আলাপে মাশরাফিকে জানান, নিলামের খবর পেয়েই যে ভাবনা কাজ করেছে তাদের মাথায়, ‘আপনি এই দেশকে যে সম্মান এনে দিয়েছেন, সেই সম্মানের প্রতিদান আসলে কোনোভাবেই হয় না। কিন্তু এটুকু করে আমরা চেষ্টা করেছি, আপনাকে কিছুটা হলেও সম্মান জানাতে। নিলামের খবর জানতে পেরেই আমি এই সংগঠনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই এক বাক্যে বলেছেন, যদি ভালো কাজে এই অর্থ ব্যয় হয় এবং আর্থিক খাত থেকে যদি বাংলাদেশের অধিনায়ককে সম্মান জানানো যায়, এর চেয়ে ভালো কিছু হয় না।’
তিনি জানান, টাকার অঙ্কে আসলে দেশের সফলতম অধিনায়কের হাতের এই স্মারকের মূল্যায়ন হয় না, ‘মাশরাফির এই স্মারকটি আসলে অমূল্য, কোনো মূল্য হয় না। তার পরও আমরা খুশি যে এই টাকায় ব্রেসলেটটি নিতে পেরেছি।’
নিলামে বিক্রি নিশ্চিত হওয়ার পরই মাশরাফি তার হাত থেকে ব্রেসলেট খুলে ফেলে বলেন, ‘এই যে, খুলে ফেলেছি। এটা আপনাদের, এখন আমার হাত খালি।’
কিন্তু চমকের বাকি ছিল আরও। মমিন উল জানান মাশরাফির ব্রেসলেট কিনে আবার তাকেই সেটা উপহার দিবেন তারা, ‘এই ব্রেসলেট ১৮ বছর ধরে আপনার সঙ্গে আছে, এটি আপনার হাতেই মানায়। আমরা এই ব্রেসলেট আপনাকেই উপহার দিতে চাই।’
নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ যাবে মাশরাফির ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনে’। যা নিয়ে সংকটে থাকা মানুষদের সাহায্য করা হবে।
Comments