সাতক্ষীরায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে মানুষ, উপকূলীয় অন্যান্য জেলায় চলছে প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মানুষ। এই উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। এ ছাড়া, বাগেরহাটে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮১৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র। কক্সবাজারে আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ঝড়ের ক্ষতি মোকাবিলায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শ্যামনগরের একটি আশ্রয় কেন্দ্র। ছবি: কল্যাণ ব্যাণার্জী

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মানুষ। এই উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। এ ছাড়া, বাগেরহাটে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮১৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র। কক্সবাজারে আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ঝড়ের ক্ষতি মোকাবিলায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরা

শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপকুর ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইকিং করে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। লাল পতাকা টাঙিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত দেওয়া হয়েছে এসব এলাকায়।

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, ‘রোববার রাতে চাঁদনীমুখো এলাকায় স্কুল, মাদ্রাসা মিলিয়ে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ২৫০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।’

পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী আতাউল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নের তিনটি স্কুলে দেড়শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রত্যেক ঘরে একটি করে পরিবারের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তারা বাড়িতে লকডাউনে থাকার মতো করেই থাকছেন। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মানুষ না আসতে চাইলে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।

বাগেরহাট

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাগেরহাটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্র। ঘূর্ণিঝড়ে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আশ্রয় নেবে মানুষ। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এই জানান, এই দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে জরুরি সভা হয়েছে। জেলা ও উপজেলাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। বোরো ধান দ্রুত কেটে ঘরে তুলতে কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্কুল ও কলেজের ভবনগুলো খোলা রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজার

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মোট ৫৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি রাখা হয়েছে।

উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্যাম্পগুলোতে সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের যৌথ মহড়া হয়েছে। জরুরি খাদ্য হিসাবে মুড়ি, চিড়া, গুড়, পানিসহ তৈরি খাবারের প্যাকেট তৈরি করা রাখা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago