ঘূর্ণিঝড় আম্পান: পটুয়াখালীতে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় ১৩৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে পটুয়াখালীতে ৭৫০টি এবং ৬১০টি বরগুনায়।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার হরিদেবপুর এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকেরা জনগণকে সতর্ক করতে মাইকিং করছেন। ছবি: সোহরাব হোসেন

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় ১৩৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে পটুয়াখালীতে ৭৫০টি এবং ৬১০টি বরগুনায়।

পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের ৪৭৫০ জনকে নিরাপদ ‌আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় ৩২২ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং সরকার থেকে ২০০ মে. টন চাল, ৩ লাখ নগদ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও গোখাদ্যের জন্য আরও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেলেও তা এখন এসে পৌঁছায়নি।

তিনি আরও বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে জনসাধারণকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মাইকিং করো সচেতন করা হচ্ছে এবং একই সঙ্গে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যা‌ওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

বরগুনায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সাইক্লোন শেল্টারে দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য জেলায় ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্রের সঙ্গে আরো ১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। সবমিলিয়ে ৬১০টি আশ্রয়কেন্দ্র এখন প্রস্তুত। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকবিলায় ইতোমধ্যে জেলার ছয় উপজেলায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় 'আম্পান' মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী করণীয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।

তিনি বলেন, বরগুনার সাতটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যা মেরামতের জন্য পানি উন্নয়নবোর্ডের চারটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি বিদ্যুৎ সচল রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগেও চারটি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-এর ছয় হাজার ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় সাড়ে সাত হাজার স্বেচ্ছাসেবী তাদের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। কৃষকের বিভিন্ন ফসল যেমন ধান, মুগ ডাল, তরমুজ, সূর্যমুখী এসব ফসলের শতকরা ৮০ ভাগই ঘরে তুলতে পেরেছে কৃষক। তবে ভুট্টা এবং চিনা বাদামের অধিকাংশই এখনো ক্ষেতে রয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় ৪২টি ইউনিয়নে ৪২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বিশেষ প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালেও।

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago