উয়েফা সভাপতির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে করোনা

Aleksander Ceferin
ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের কারণে বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে উয়েফাকে। সেকারণে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন। ‘মিলিয়ন মিলিয়ন’ ডলার ক্ষতির আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তিনি।

বিশ্বজুড়ে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় গেল মার্চ থেকে স্থগিত রয়েছে ইউরোপের প্রায় সব দেশের ফুটবল লিগ। উয়েফার ক্লাব প্রতিযোগিতাগুলোও (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগ) পিছিয়ে গেছে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এরই মধ্যে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস নিজেদের লিগ বাতিল করেছে। এমন পরিস্থিতিতে উয়েফার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তীব্র শঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের কাছে উদ্বিগ্ন সেফেরিন বলেছেন, ‘দুই মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো আমি সুইজারল্যান্ডে (উয়েফার সদর দপ্তরে) গিয়েছিলাম গেল সপ্তাহে। সেখানে সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বৈঠক করেছি। (হজম করা কঠিন এমন ধরনের) অনেক তথ্য পাচ্ছি। সূচি নিয়েও অনেক জটিলতা রয়েছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার হারাতে যাচ্ছি আমরা।’

তিনি যোগ করেছেন, ‘ওই দিনের পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়াটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। যদি বিছানায় গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ি, তবে তা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ বলে মনে হয়।’

শুধু উয়েফা নয়, চলমান ২০১৯-২০ মৌসুম শেষ করা সম্ভব না হলে বা বাতিল হলে বিপাকে পড়বে ইউরোপের প্রতিটি দেশের লিগ কর্তৃপক্ষ। তাদেরকেও বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে। তাই আগামী অগাস্টের মধ্যে মৌসুম শেষ করার পরিকল্পনা করছে উয়েফা। সেফেরিন জানিয়েছেন, ‘উয়েফার সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। আমরা এখনও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়িনি। তবে আমরা সব ক্লাব, লিগগুলোর ও অংশীদারদের ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নবান। এখনও অনেক কাজ করতে হবে আমাদের।’

আশার খবর হলো, চলতি সপ্তাহ থেকে মাঠে গড়িয়েছে জার্মান বুন্ডেসলিগা। এছাড়া, ইতালিয়ান সিরি আ, স্প্যানিশ লা লিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফের চালু করার তোড়জোড় চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

9h ago