৫ হাজার মানুষের মুখে একবেলা হাসি ফুটিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা সোহাগ

দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর বগুড়া এবং গাইবান্ধায় এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারেরও বেশি পথ শিশু, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভিক্ষুক ও অসহায় মানুষের মাঝে একবেলা করে খাবার বিতরণ করেছেন ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়ার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
ছবি: মোস্তফা সবুজ

দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর বগুড়া এবং গাইবান্ধায় এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারেরও বেশি পথ শিশু, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভিক্ষুক ও অসহায় মানুষের মাঝে একবেলা করে খাবার বিতরণ করেছেন ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়ার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

বগুড়া জেলা লকডাউনের পরে গত ১৯ এপ্রিল থেকে নিজ উদ্যোগে ১০০ মানুষের মাঝে একবেলার খাবার বিতরণ করতে শুরু করেন তিনি। এতে তার প্রতিদিন খরচ হত ২ হাজার ৫০০ টাকা।

তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অফিস বন্ধ থাকায় খুব বাইরে বের হতে হত না | তবে এক দিন বাজার করতে গিয়ে দেখি কিছু মানুষ বাজারের পাশে বসে ভিক্ষা করছে। তাদের দেখেই মনে হলো তারা খুব ক্ষুধার্ত। তখন বাসায় এসেই স্থির করলাম কাল থেকে এসব মানুষকে আমি নিজ উদ্যোগে একবেলা করে খাবার দেবো।’

এরপর স্থানীয় একটি রেস্তোরায় খাবার রান্না করিয়ে নিজেই বের হয়ে যান দুস্থ মানুষের খোঁজে। খুঁজে খুঁজে বের করেন অনাহারী মুখ এবং তাদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেন। খাদ্য বিতরণের কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন তার ফেসবুকে। কিছু গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হয়। এরপর সমাজের আরও অনেক মানুষ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ ৫০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সাহায্য পাঠিয়েছেন। এটা চালু রাখার জন্য তাদের আর্থিক সাহায্য আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ এপ্রিল থেকে গাইবান্ধা জেলায় আরও ১৫০ জন অনাহারী মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ শুরু করি।’

প্রতিদিন প্রায় ২৫০ জন মানুষকে খাবার সরবরাহ করছেন এই দুদক কর্মকর্তা। এতে প্রায় খরচ হচ্ছে আট থেকে নয় হাজার টাকা।

এই কাজের সাথে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী এবং দেশ-বিদেশ থেকে যারা আর্থিক সাহায্য করছেন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যতদিন এই করোনা মহামারি থাকবে, ততদিন আমি ক্ষুধার্তদের মাঝে এই খাদ্য বিতরণ চালু রাখতে চাই। আর্থিক সহায়তা পেতে থাকলে করোনার পরেও শহরের অসহায় মানুষ এবং ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে এক বেলা খাবার বিতরণ কর্মসূচি চালু রাখতে চাই।’

তিনি জানান, ২০১৫ সাল থেকে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে বিত্তবানদের সহায়তায় প্রতিবছর গাইবান্ধায় প্রায় ৫০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারকে ঈদের বাজার করে দেন।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago