পিরোজপুরে ১৫ কি.মি বাঁধ, ২৫০০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে পিরোজপুর জেলায় প্রায় আড়াই হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ খুব সকাল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া লোকজন বাড়িতে ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ভোর ৪টা থেকেই প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানিও নামতে শুরু করেছে। তবে দুপুর থেকে পুনরায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে এবং আবহাওয়া থমথমে রয়েছে।
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, পিরোজপুরের নেছারাবাদ ও মঠবাড়িয়া বাদে অন্য উপজেলাগুলোতে বিদ্যুত সংযোগ চালু করা হয়েছে এবং সন্ধ্যার মধ্যে জেলার সর্বত্র বিদ্যুত সংযোগ চালু হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার কঁচা, বলেশ্বর, কালিগঙ্গা ও অন্যান্য নদী প্লাবিত হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, বলেশ্বর ও কঁচাসহ অন্য কিছু ছোট নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেড়িবাঁধ।
জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী জানিয়েছেন, জেলার ৬,৭৫৫টি পুকুর ও মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। এতে মাছ চাষীরা ৩৭৬ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন জেলার নাজিরপুরের মাছ চাষীরা।
পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হেনা মোহাম্মদ জাফর জানিয়েছেন, অধিকাংশ বোরো ধান ও রবি শস্য ঝড়ের আগেই সংগ্রহ হওয়ায় কৃষকেরা তেমন একটা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না।
তবে কলার খেত ও পেপে বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কৃষি খাতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণের জন্য মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে সড়ক বিভাগের কোনও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এর অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে।
পিরোজপুর এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত রঞ্জন রায় জানান, এলজিইডি’র আওতায় থাকা ১৪ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
গত বছর নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে পিরোজপুরে ব্যাপক গাছপালা ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তাঘাটসহ বন্ধ ছিল বিদ্যুত সরবরাহ।
Comments