ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষ

স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীবাসী। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাটে ছিল ঘরমুখী মানুষের ভিড়। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও অনেকে যানবাহন বদলে বদলেই ফিরছেন স্বজনের টানে।
Manikganj_EID2
স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছে রাজধানীবাসী। ছবি: স্টার

স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীবাসী। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাটে ছিল ঘরমুখী মানুষের ভিড়। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও অনেকে যানবাহন বদলে বদলেই ফিরছেন স্বজনের টানে।

ঢাকায় একটি বিপণি বিতানে কাজ করেন আক্কাস আলী। তিনি ফিরছেন রাজবাড়ীতে। আক্কাস আলী বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ঈদের একটা বিষয় থাকে। রিকশা, পিকআপ ভ্যান— এভাবে যানবাহন বদলে মানিকগঞ্জ এসেছি। বাকি পথও এভাবে চলে যাব।’

মাগুরা যাবেন বলে পরিবার নিয়ে বের হয়েছেন জামাল উদ্দিন। ঢাকায় তিনি একটি বেসরকারি চাকরি করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় থাকার অবস্থা নেই। বেতন বন্ধ, বোনাস হয়নি। ঢাকায় অনেক খরচ। গ্রামে গেলে অন্তত খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবো।’

Manikganj_EID3
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যানবাহন বদলে বদলে ঘাটে আসছেন ঘরমুখী মানুষ। ছবি: স্টার

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘গত দুদিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পচনশীল ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি আটকা পড়েছে। যে কারণে ওই গাড়িগুলো পার করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলে শিথিলতা আসায় যাত্রীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা-আরিচা মহাড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট আছে, বাস চলতে দেওয়া হচ্ছে না।’

Manikganj_EID
যানবাহন না পেয়ে হেঁটে রওনা হন অনেকে। কিছুটা হেঁটে, কিছুটা ভ্যানে এসে ফেরিতে উঠছেন। ছবি: স্টার

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে দুদিন বন্ধ থাকলেও গতকাল রাত ১১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মোট ১৬টি ফেরি প্রস্তুত আছে। বর্তমানে আটটি চালু রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে বাকি ফেরিগুলো যুক্ত করা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago