সরকারি হিসাবে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি

বাগেরহাটে ভেসে গেছে সাড়ে ৪ হাজার মাছের ঘের

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে চার হাজার ৬৩৫টি মাছের ঘের ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এতে প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে চার হাজার ৬৩৫টি মাছের ঘের ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। ছবি: স্টার

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে চার হাজার ৬৩৫টি মাছের ঘের ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এতে প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে প্রায় ৩৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাগেরহাট জেলায় ৭৮ হাজার ১০০টি মাছের ঘের আছে। সদর উপজেলা, রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও কচুয়া উপজেলার চাষিরা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি হিসাবের তুলনায় ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ১০ হাজার মাছের ঘের জোয়ারে ভেসে গেছে। আমরা সাংঘাতিক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি।’

বাগেরহাট সদর উপজেলার মাঝিডাঙ্গা গ্রামের নারী মৎস্য চাষি হালিমা বলেন, ‘রাতের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আমার ঘেরের মাছ বের হয়ে গেছে। সকালে ঘেরে গিয়ে নেট দিয়েছি। কিন্তু মাছ যা বের হওয়ার রাতেই বের হয়ে গেছে।’

রামপাল উপজেলার সবুর শেখ বলেন, ‘ঘেরে বিক্রি যোগ্য অনেক মাছ ছিল। নতুন করেও কিছু পোনা ছেড়েছিলাম। করোনার কারণে মাছের দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি করতে পারিনি। দুই মাস ধরে আয় বন্ধ। এর মধ্যে আম্পান সব মাছ ভাসিয়ে নিয়ে গেল।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago