ঘূর্ণিঝড় আম্পান

পটুয়াখালীতে ২৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে পটুয়াখালীর ২৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুইটি মাদ্রাসাসহ চারটি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ এবং ২৩৬ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ছবি: সোহরাব হোসেন

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে পটুয়াখালীর ২৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুইটি মাদ্রাসাসহ চারটি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ এবং ২৩৬ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ হাজার ২৪০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে দুইটি সম্পূর্ণ ও ৬৯ টি আংশিক এবং ২৯৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৩ টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬৩ টি কলেজের মধ্যে ৮ টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও, ২৫১ টি মাদ্রাসার মধ্যে দুইটি মাদ্রাসা সম্পূর্ণ এবং ৫৬ টি মাদ্রাসা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ বলেন, ‘১৯৯৪ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে সরকারীকরণ হয়। এখানে চার জন শিক্ষক ও প্রায় একশ শিক্ষার্থী আছে। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয় ভবন, চেয়ার, টেবিলসহ সব আসবাবপত্র সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনার প্রভাব এবং রমজানের ছুটির কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকলেও ছুটির পরে কীভাবে পাঠদান হবে তা ভেবে পাচ্ছি না।’

গলাচিপা উপজেলার রতনদি তালতলী ইউনিয়নের মেম সাহেব মাধ্যমিক বিদ্যালয় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিন সেডের বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে বিদ্যালয়ের সকল আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠান খোলার পরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের বসাক বাজার এলাকার সাঈদ আহমেদ কলেজের আংশিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটিতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ গাজী সায়েদ আহমেদ জানান।

জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় তালিকা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago