স্মিথ চাইলেও এখনই সৌরভকে সমর্থন দিচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়কের পছন্দের প্রতি এখনই সমর্থন জানাতে অসম্মতি প্রকাশ করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ)।
ganguly and smith
ছবি: এএফপি (সম্পাদিত)

ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি ও দলটির সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে আইসিসির পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান গ্রায়েম স্মিথ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়কের পছন্দের প্রতি এখনই সমর্থন জানাতে অসম্মতি প্রকাশ করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ)।

আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে শশাঙ্ক মনোহরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই। তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে ক্রিকেটমহলে। এমন অবস্থায় সৌরভকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট পরিচালক স্মিথ।

এক টেলিকনাফারেন্সে সাবেক বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘সঠিক ব্যক্তির আইসিসি প্রধান হওয়াটা খুবই জরুরি। কোভিড-১৯ পরবর্তী ক্রিকেটের জন্য দক্ষ নেতৃত্বের প্রয়োজন। আধুনিক ক্রিকেটের নেতৃত্বগুণসম্পন্ন (সৌরভ গাঙ্গুলির মতো) কারও সেই পদে বসার এখনই উপযুক্ত সময়।’

স্মিথ খোলাখুলিভাবে মন্তব্য করলেও সিএসএ ‘ধীরে চলো’ নীতিতে হাঁটতে চায়। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে সমর্থন করতে অনীহা জানিয়েছে তারা। যদিও স্মিথের মতের প্রতি ‘পূর্ণ সম্মান’ রয়েছে তাদের।

শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ক্রিস নেঞ্জানি বলেছেন, ‘কাকে সমর্থন করা হবে সে বিষয়ে আইসিসির প্রটোকল ও বোর্ডের নিজস্ব প্রটোকল মেনে চলতে হবে আমাদের।’

‘এখন পর্যন্ত (আইসিসির ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান হিসেবে) আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। যখনই মনোনীতদের তালিকা ঘোষণা করা হবে, তখনই নিজস্ব প্রটোকল অনুসারে সিএসএ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

উল্লেখ্য, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সভাপতি হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর গেল অক্টোবরে ১০ মাসের জন্য বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নেন সৌরভ। আর স্মিথের আগে তাকে সমর্থন দেন ডেভিড গাওয়ার। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক জানান, আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার মতো ‘রাজনৈতিক জ্ঞান’ সৌরভের আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago