করোনাভাইরাস: ১৭ হাজার রোহিঙ্গা লকডাউনে

কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলোতে ১৭ হাজার রোহিঙ্গার ঘর লকডাউন করে তাদের চলাফেরায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই শরণার্থী শিবিরে ২১ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ নিশ্চিত হওয়ার পর নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
rohingya-refugee-camps-1_0_0.jpg
মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার কারণে গত বছরের আগস্ট থেকে নতুন করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ছবি: রয়টার্স

কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলোতে ১৭ হাজার রোহিঙ্গার ঘর লকডাউন করে তাদের চলাফেরায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই শরণার্থী শিবিরে ২১ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ নিশ্চিত হওয়ার পর নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য বিষয়ক সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া আজ এই তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। তাদের সবার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে। এ নিয়ে মোট ৩০০ রোহিঙ্গার করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা হলো।

ডা. আবু তোহা আরও জানান, আগেই শনাক্ত হয়েছেন এমন একজনের আজ ফলোআপ রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেছে। তারসহ সর্বমোট যে ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদের সংস্পর্শে আসা প্রায় ১৭ হাজার রোহিঙ্গার ঘর লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনে থাকা রোহিঙ্গাদের চলাফেরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। তাদের যে যেখানে ছিলেন সেখানই থাকছেন। আক্রান্ত রোগীদের আলাদা করে ক্যাম্পের ভেতরে স্থাপিত আইসোলেশন হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট গত ২১ মে থেকে দুই ভাগে দেওয়া হচ্ছে।  রোহিঙ্গাদের রিপোর্ট প্রতিদিন প্রথম দফায় এবং কক্সবাজারের স্থানীয়দের পরীক্ষার রিপোর্ট দ্বিতীয় দফায় দেওয়া হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Mirpur-10 metro station to reopen tomorrow

Mohammad Abdur Rouf, managing director of Dhaka Mass Transit Company Ltd, revealed the information in a press conference

1h ago