জালে আটকে হালদায় ‘সবচেয়ে বড়’ ডলফিনের মৃত্যু

মারা যাওয়া ডলফিন। ছবি: সংগৃহীত

হালদা নদীতে জালে আটকে আরও একটি ডলফিন মারা গেছে। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ডলফিনের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

আজ রোববার সকালে রাউজান উপজেলার উরিরচর এলাকার হালদা অংশে এ ডলফিনটি মৃত অবস্থায় ভেসে উঠেছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া।

হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করে দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে এ ডলফিনটির মৃত্যুর খবর আসল। এর আগে, গত ৮ মে হালদায় আরেকটি ডলফিন হত্যা করা হয়।

ডলফিন হত্যা বন্ধে এক রিটের বিপরীতে উচ্চ আদালত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডলফিন হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। হালদায় সার্বিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গত ১৯ মে উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে এক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়।

ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ডলফিনটির মুখে জাল পেঁচানো ছিল। যাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অবৈধ শিকারিদের জালে আটকা পড়ে ডলফিনটি মারা গেছে।’

‘হালদায় গত তিন বছরে ২৫টি ডলফিন মারা গেছে। এগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। এটির ওজন প্রায় ৮০ কেজি, দৈর্ঘ্য সাত ফুট এক ইঞ্চি’, বলেন তিনি।

রাউজান উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবির সোহাগ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডলফিনটি উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেটিকে সৎকার করা হয়েছে।’

‘কী কারণে বা কীভাবে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললে সেটা বোঝা যাবে। যা মনে হচ্ছে, এটি কর্ণফুলী নদী থেকে ভেসে এখানে এসেছে’, যোগ করেন তিনি। ইউএনও দাবি করেন, তার প্রশাসনিক এলাকায় কোনো ধরনের মাছ শিকার বা অবৈধ জাল বসানোর ঘটনা ঘটে না। আগে ঘটলেও সেটা তিনি বন্ধ করেছেন।

হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উচ্চ আদালতের গঠিত কমিটির সদস্যসচিব চট্টগ্রাম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ) আবু নাসের মো. ইয়াসিন নেয়াজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশের পরপরই আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে হালদা পাড়ের বাসিন্দাদের সচেতন করা যায়, সে বিষয় করণীয় নির্ধারণ করছি।’

‘হালদা নদীতে গভীর রাতে জাল পাতার ঘটনা ঘটে বলে আমরা জেনেছি। তাই স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহযোগিতা না থাকলে সেটা বন্ধ করা কঠিন হয়ে যায়। পাশাপাশি ড্রেজার চলাচল ও দূষণ বন্ধেও আমাদের মনোযোগ দিতে হবে’, যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

How frequent policy shifts deter firms from going public

If a company gets listed, it will enjoy tax benefits, and this is one of the major incentives for them to go public..However, the government’s frequent policy changes have disheartened listed firms many times, as they faced higher tax rates once they got listed..It gave a clear, nega

2h ago