করোনা সন্দেহে পোশাক শ্রমিকের মরদেহ তিস্তা নদীতে, ২ দিন পর উদ্ধার

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে করোনা সন্দেহে মৃত এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধারের পর আজ সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে বুড়িমারী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে দাফন করে আদিতমারী ও পাটগ্রাম থানা পুলিশ।

মৃত পোশাক শ্রমিক মৌসুমী আক্তার (২৩) ওই গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে।

মৌসুমীর বাবা গোলাম মোস্তফা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন মৌসুমী। গত ২১ মে মৌসুমী অসুস্থতা বোধ করলে একটি ট্রাকে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে রংপুরের তাজহাট এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকচালক তাকে মৃত দেখে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান। অজ্ঞাত হিসেবে তাজহাট থানা পুলিশ মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরদিন ২২ মে শুক্রবার বিকালে মৌসুমীর বাবা গোলাম মোস্তফা হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।

গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি মেয়ের মরদেহ বুঝে নিয়ে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নিসাদকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়ে নিজ এলাকায় দাফনের অনুমতি চান। কিন্তু চেয়ারম্যান অনুমতি না দিয়ে ওই মরদেহসহ পুরো বাড়ি এবং মরদেহবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

মেয়ের মরদেহ দাফনে তাজহাট এলাকার লাশবাহী এক গাড়ি চালককে পাঁচ হাজার টাকা দেন তিনি।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, গতকাল রোববার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদী থেকে সরকারি ব্যাগে মোড়ানো অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহটি উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। আজ ঈদের নামাজ শেষে আদিতমারী থানা পুলিশ মরদেহটির জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি নিতেই পরিচয় শনাক্ত করেন মৃতের বাবা গোলাম মোস্তফা।

জানতে চাইলে, পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নিসাদ, হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটি যেহেতু করোনা সন্দেহে মারা গেছে, সেজন্য তার বাবাকে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছিলাম।

Comments

The Daily Star  | English

Police grapple with surge in crime

Data from the Police Headquarters presents a grim picture of violent crimes, including murder, mugging, robbery, extortion, and mob violence, in the first six months of 2025.

17h ago