এখনই লেভানদোভস্কির সঙ্গে হালান্ডের তুলনা পছন্দ নয় বায়ার্ন কোচের

ছবি: এএফপি

মাত্র ১৯ বছর বয়সেই সুপারস্টারের খেতাব পেয়ে গেছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের নরওয়ের ফুটবলার এরলিং হালান্ড। অনেকে এখনই তাকে বিশ্বের সেরা নম্বর নাইনের স্বীকৃতি দিচ্ছেন। এগিয়ে রাখছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ তারকা রবার্ত লেভানদোভস্কির চেয়েও। তবে লেভানদোভস্কির সঙ্গে এখনই হালান্ডের তুলনা দেওয়াই পছন্দ করছেন না বায়ার্ন কোচ হান্সি ফ্লিক।

রাতে বুন্ডেসলিগায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল বায়ার্ন ও বরুসিয়া মুখোমুখি হচ্ছে। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে হালান্ডের কথা। তুলনা দেওয়া হয় লেভানদোভস্কির সঙ্গে। কিন্তু তার সঙ্গে হালান্ডের তুলনা দেওয়াটা মানতে পারছেন না ফ্লিক, 'এটা তার প্রথম মৌসুম, তাই এখনই তুলনা করা খুব আগে হয়ে যাবে।'

গত জানুয়ারিতে সলজবুর্গ থেকে ২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে কিনে আনে বরুসিয়া। এ ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর লিগে প্রথমবার বড় ম্যাচের উত্তাপ টের পাচ্ছেন হালান্ড। সাম্প্রতিক সময়ের ছন্দে তাকে নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে বেশ। বুন্ডেসলিগাতেয় আগের সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। তাই তাকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করতেই হচ্ছে দলগুলোকে।

কিন্তু ফ্লিক শুধু তাকে নিয়েই চিন্তা করছেন না। সবাইকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি, 'সে বয়সে তরুণ কিন্তু এখনই গোলের প্রতি বিশাল একটা টান রয়েছে। সে শুধু ফিনিশ করতে চায়। তার প্রচুর গতি আছে। সে (গোল করার ক্ষেত্রে) লোভী, আকারেও বিশাল এবং এখনও চটপটে। তবে আমাদের কেবল তার দিকেই নজর দিলে হবে না।'

ফ্লিক না চাইলেও তুলনাটা চলেই আসছে ভক্ত- সমর্থকদের আলোচনায়। কারণ লেভানদোভস্কি ও হালান্ড দুই জনই এখন পর্যন্ত এ মৌসুমে ম্যাচ খেলেছেন ৩৫টি করে। দুইজনই করেছেন ৪১টি করে গোল। যদিও হালান্ড প্রথম ছয় মাস খেলেছেন অস্ট্রিয়ান লিগে। কিন্তু অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় যে হালান্ড ভালো খেলেছেন এমনটা নয়, বুন্ডেসলিগায় যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ১৩টি গোল করেছেন এ তরুণ।

তবে হালান্ডের উত্থান চলতি মৌসুমেই। অন্যদিকে লেভানদোভস্কি পরিক্ষিত সৈনিক। লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন তিনি। শেষ পাঁচ বছরে তো মেসি-রোনালদোর চেয়েও বেশি গোল দিয়েছেন। সবমিলিয়ে তুলনাটা একটু আগেই হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন বায়ার্ন কোচ।

Comments

The Daily Star  | English

Loud blasts heard in west Tehran: AFP journalist

A large cloud of black smoke billowed over the area of the Iranian capital

Now