কুড়িগ্রামে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি, পানিতে ডুবে গেছে ধান
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/kurigram_photo_ston_rain.jpg?itok=Q7nr6Yp5×tamp=1590575976)
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় শিলাবৃষ্টিতে ধান, পাটসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী ও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি হয়।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক তৈয়ব আলী, রহিম, তপন চন্দ্র জানান, শিলাবৃষ্টিতে পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই ইউনিয়নের কৃষক সুরেশ, আলম ও
শফি বলেন, শিলাবৃষ্টিতে তাদের খেতের অর্ধেক পাকা ধান ঝরে গেছে।
ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের কৃষক কার্তিক চন্দ্র সরকার জানান, বৃষ্টিতে তার তিন বিঘা খেতের পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া গত সাত দিনের ব্যাপক বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলের চলতি মৌসুমের উঠতি ইরি-বোরো ধান, পাট, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির খেত।
কৃষক কিছু ধান কাটলেও বৃষ্টির কারণে মারাই করতে পারছে না। এসব ধান দীর্ঘদিন বৃষ্টিতে থাকায় কৃষকের উঠানেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, গত ২০ মে রাত থেকে ২৬ মে বিকাল পর্যন্ত ৭ দিনে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩০ দশমিক ৯৭ মিলিমিটার। এছাড়া জেলার কিছু কিছু উপজেলায় বৃষ্টিপাতের হার ছিলো অনেক বেশি। এর সাথে ছিল ঝড়ো হাওয়া। বিশেষ করে নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল বেশি। এই দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশিরভাগ ধান ডুবে গেছে পানিতে।
নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জামান জানান, ঝড়োবাতাস এবং বৃষ্টিতে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির ধানখেত আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে দ্রুত পানি নেমে গেলে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। আকাশ ভালো হওয়ার সাথে সাথেই কৃষককে পাকা ধান কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদ জানান, শিলাবৃষ্টিতে ধান এবং পাটের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে কৃষক।
জেলায় এবার ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে ইরি-বোরো ধান। যা ১১ মে থেকে কাটা শুরু হলেও এখনও ২৭ ভাগ ধান কাটা বাকি। এসবের মধ্যে বেশির ভাগ রয়েছে বিআর ২৯ এবং কিছু উচ্চ ফলনশীল ধান।
জেলা কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী জেলায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
Comments