সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না

সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না বলে বুধবার জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না বলে বুধবার জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত অফিস নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে খোলা থাকবে। তবে সবাইকে ১৩ দফা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে কাজ করতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলারা ও অসুস্থ ব্যক্তি অফিস করতে পারবে না। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলবে না। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়া যাবে না। প্রতিটি জেলায় চেকপোস্ট থাকবে। স্কুল, কলেজ আপাতত ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়ে অনলাইনে কার্যক্রম চলবে।

‘এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাইন হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে,’ যোগ করেন তিনি । 

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাগরিকদের জন্য অর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড সীমিত আকারে খোলা থাকবে। হাট-বাজার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত হালকা যানবাহন এবং সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিমান চালানো যাবে, বলেন প্রতিমন্ত্রী।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন যে সকল নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেটি ১৫ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুনের পর আবার আরেকটি প্রজ্ঞাপন হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ মার্চ সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ও চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়। এরপরও পরিস্থিতির উন্নত না হওয়ায় পঞ্চম দফায় ১৬ মে এবং সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করে সরকার।

২৫ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা প্রদানের সাথে জড়িত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের অধীনস্থ অফিসগুলো বর্ধিত সাধারণ ছুটির দিনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে।

সর্বশেষ গত ১৪ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১৭ থেকে যে সাধারণ ছুটি, শবে কদরের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঈদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় এখনও তা চলছে।

করোনার সংক্রমণ রোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রেল, সড়ক, নৌ ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে সরকার।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যেই গত ২৬ এপ্রিল কিছু পোশাক কারখানা পুনরায় চালু করা হয় এবং কারখানার মালিকরা দাবি করেন যে তারা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে শুধুমাত্র ঢাকায় উপস্থিত কর্মীদের মাধ্যমে কাজ করছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে সর্বপ্রথম চীন থেকে সংক্রমণ শুরুর পর করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ পর্যন্ত ছড়িয়েছে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে।

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago